মতিঝিলের ঘরোয়া রেস্তোরাঁর কর্মচারীকে খুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোহেলের জড়িত থাকার বিষয়ে ‘নিশ্চিত’ হয়েছে পুলিশ।
Published : 30 Nov 2015, 09:33 PM
তদন্ত শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার ওয়ারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আলিম হোসেন সিকদার।
গত ২৮ অক্টোবর ‘মোবাইল ফোন সেট চুরির’ অভিযোগে ওয়ারীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে রিয়াদ হোসেন (১৬) নামে ওই কর্মচারীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের ভাই রিপন দাবি করে আসছেন, রেস্তোরাঁর মালিক সোহেলই তার ভাইকে হত্যা করেছেন।
এ ঘট্নায় সোহেল (৩৩) ছাড়াও দোকানের দুই কর্মচারী জসীম উদ্দিন ও খবিরকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আলিম সিকদার বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে ঘরোয়া হোটেলটি সিলগালা করা হয়েছে এবং ভেতরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজও জব্দ করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে নির্যাতনের দৃশ্য পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রিয়াদকে বেঁধে রাখা হয়েছিল হোটেলের পেছনের দিকে, তাই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে পাওয়া যায়নি। তবে রিয়াদকে নিয়ে হোটেল থেকে বের হওয়ার ও ভেতরে নেওয়ার দৃশ্য পাওয়া যায়।”
নিহতের ভাই অভিযোগ করে আসছেন, হোটেলের ভেতরে ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে তার ভাইকে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
এরই মধ্যে ওয়ারীতে সোহেলের নির্মাণাধীন ভবন থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করে তা পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
আলিম হোসেন সিকদার বলেন, “সব ধরনের তদন্ত শেষ হয়েছে; এখন শুধু সোহেলকে গ্রেপ্তার বাকি। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই বাকি কাজ হয়ে যাবে।
“সব ধরনের তদন্তে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত, সোহেলই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।”
এদিকে মামলার বাদী রিয়াদের ভাই রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সোমবার তিনি জানান, তিনি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আছেন।
“মা একা, সারাদিন শুরু রিয়াদের জন্য কান্দে। আমার তো বাবা ছোট বেলায় মারা গেছে। এখন তো আর আমি ছাড়া মার কাছে থাকার মতো কেউ নাই।”
ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তারা (সোহেল) বড় লোক; টাকা-পয়সা দিয়ে সব ম্যানেজ করবে।”
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ফোনে পাঁচ লাখ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জবাবে কী বলেছেন জানতে চাইলে রিপন বলেন, “আমাদের সংসার চলে। গরিব হইতে পারি, তাও মালিকের ফাঁসি ছাড়া আর কিছু চাই না।”