ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্ত্রী ও আট বছর বয়সী সৎ ছেলেকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে অস্ত্র মামলায় জেলখাটা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 07 Oct 2015, 11:35 AM
মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দনজরগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক আনসারী জিন্নাত আলী জানান।
নিহতরা হলেন- শাহেরা বেগম (৩০) ও তার ছেলে ফয়সাল (৮)।
শাহেরার মেয়ে জান্নাতকে (১১) আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বুধবার ভোর রাতে স্থানীয়দের সহয়তায় শাহেরার স্বামী ইসহাককে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয় বলে পরিদর্শক জিন্নাত আলী জানান।
নোয়াখালীতে একটি অস্ত্র মামলায় ১২ বছর সাজা খেটে গতবছর মুক্তি পান ইসহাক। পরে বড় ভাইয়ের শ্যালিকা শাহেরাকে বিয়ে করেন তিনি। ফয়সাল ও জান্নাত দুজনই শাহেরার আগের স্বামীর সন্তান।
চলতি মাসেই তারা বন্দনজরগঞ্জের বাচ্চু মিয়ার টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক জিন্নাত আলী বলেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ইসহাক প্রথমে ফয়সালকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে শাহেরার গলায়ও কাপড় প্যাঁচানো হয়। শাহেরার গলায় একাধিক কোপের দাগ রয়েছে।”
এরপর জান্নাতকে জখম করার সময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে ইসহাককে ধরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়।
জিন্নাত আলী বলেন, “সম্ভবত সবাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ইসহাক। কিন্তু ফয়সালকে হত্যার পর অন্য দুজন টের পেয়ে যায়।”
থানায় নেওয়ার পর থেকেই ইসহাক ঘুমাচ্ছেন জানিয়ে এই পুলিশ পরিদর্শক বলেন, “সে সম্ভবত ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়েছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মো. সাইদুজ্জামান জানান।