কোন কর্তৃত্ব বলে ফাহিমা খাতুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 01 Sep 2015, 10:00 PM
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
জ্যেষ্ঠ জনপ্রশাসন সচিব, জ্যেষ্ঠ শিক্ষা সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ফাহিমা খাতুনের অধ্যাপক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) রিক্রুটমেন্ট রুলস-১৯৮১ এর ৭(১)(২) ও ৫(বি) অনুসারে অধ্যাপক হতে হলে বিভাগীয় পরীক্ষা ও জ্যেষ্ঠতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। ওই আইনের ৮(১) ধারায় এ বিষয়ে বিধিনিষেধ আছে।
“ফাহিমা খাতুন পরীক্ষা ছাড়াই ২০০৬ সালের ৩০ মে অধ্যাপক হন।”
এই আইনজীবী বলেন, “মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হতে হলে পদে জ্যেষ্ঠতাও থাকতে হবে। এসব অনুসরণ না করেই ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
‘এ সব কিছুই আইনের পরিপন্থি’ অভিযোগ করে সে প্রেক্ষাপটে রিট আবেদনটি করা হয় বলে জানান তিনি।