অভিযোগ আমলে নিয়ে ‘তৎপর’ ইসি

নির্বাচন কমিশনে দলীয়ভাবে ও প্রার্থীদের যেসব অভিযোগ জমা পড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2018, 07:41 PM
Updated : 18 Dec 2018, 07:41 PM

সেই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও বলছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটের ১১ দিন বাকি থাকতে প্রার্থীদের অভিযোগ নিয়ে দৃশ্যত তৎপর হয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইসির একটা নির্দেশনা রয়েছে, প্রার্থীদের প্রচারে বাধা-হামলার বিষয়ে যেসব অভিযোগ আসছে তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে তা পাঠানো হচ্ছে; সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হচ্ছে।”

সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচনী প্রচার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দিয়েছে। তা আমলে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ ও সুপারের কাছে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন বলা হয়েছে মঙ্গলবার।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে জানানো হয়-খুলনা-৩, নেত্রোকোণা-৪, বরিশাল-৫, কুষ্টিয়া-৩, জামালপুর-২, দিনাজপুর-৪, সাতক্ষীরা-১, ঢাকা-৬, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৭ ও পটুয়াখালী-৪ আসনে তাদের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, নেতা ও প্রার্থীদের উপর পুলিশি এবং সন্ত্রাসী হামলা, গ্রেফতার, পথসভা পণ্ড ও নির্বাচনী প্রচারণায় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খান জানান, সারাদেশ থেকে বিভিন্ন দল ও প্রার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। কমিশন দলের পাশাপাশি প্রার্থীদের অভিযোগও আমলে নিচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয় কমিশন।

প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন আসনের অভিযোগও খতিয়ে দেখতে বলেছে ইসি।

৩০ ডিসেম্বর ভোটকে সামনে রেখে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছেন তারা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কামাল হোসেন সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পরই তৎপরতা দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

জোটের প্রার্থীদের ভোটের প্রচারে ‘বাধা দেওয়া হচ্ছে’, তাদের পোস্টার ‘ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে’ অভিযোগ করে কামাল হোসেন বলেন, “সবখানে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে... এসব করে সরকার যদি ভাবে ভোট বর্জন করা হবে, এ সুযোগ তারা পাবে না। আমরা কমিশনকে বলেছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বা দু’দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আনতে হবে। এরপরই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পরে বিকালে পুলিশ প্রধান জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠক করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।