মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির আগে তিনশ সংসদীয় আসনের বাতিল ও বৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 05 Dec 2018, 10:11 AM
সারা দেশে জমা পড়া মোট ৩০৫২টি মনোনয়নপত্রের তথ্য এই তালিকায় এসেছে, যার মধ্যে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ২২৭৯টি মনোনয়নপত্র। বাকি মনোনয়নপত্রের কোনটি কেন বাতিল হয়েছে, সে তথ্যও এসেছে।
২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে দলীয় প্রার্থীদের ৪০২টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ঋণ ও বিল খেলাপির কারণে।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অন্তত ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিলের খাতায় গেছে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কারণে।
দলীয় মার্কা চেয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও দলের প্রত্যয়নপত্র না থাকায় প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে অনেকের। কারও ক্ষেত্রে সাক্ষরে অমিল, সাক্ষর না থাকা, দলিল ও সনদ জমা না দেওয়া, ভোটের খরচের অ্যাকাউন্ট না খোলা এবং অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়াকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ২ বছরের বেশি সাজার কারণে। এমন আরও অন্তত তিন জন রয়েছে দণ্ড থাকার কারণে বাতিলের খাতায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৩৮৪টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, যার বেশিরভাগই বাদ পড়েছে সংশ্লিষ্ট আসনের ১% ভোটারের সমর্থন তালিকায় গড়মিলের কারণে।
রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে বুধবার পর্যন্ত। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে ইসিতে। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার আপিল আবেদনের শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপরই পাওয়া যাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। তখনই জানা যাবে, কারা থাকছেন ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের লড়াইয়ে।