শনিবার নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। টেলিভিশন, অনলাইন, মোবাইল বা ক্যামেরায় হোক- সরাসরি সম্প্রচার যেন না করে সে বিষয়ে অনুরোধ করছি।”
ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে সম্প্রচারে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল।
সিইসি বলেন, “ভোটকক্ষের মধ্যে ছবি বা ভিডিও করতে কোনো বাধা নেই। শুধু সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ করা হচ্ছে।”
অন্য নির্বাচনের মতো ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবে। কেন্দ্রের চৌহদ্দি বলতে অন্তত ৪০০ গজ এলাকাকে বোঝানো হয়।
কেন্দ্রের ভেতরে নির্ধারিত কক্ষকে ভোটকক্ষ বলা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে অন্তত ৫/৬টি ভোটকক্ষ থাকে। সেখানে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টরা ভোটারদের চিহ্নিত করে নম্বর সরবরাহ, আঙ্গুলে অমোচনীয় কালি, ব্যালট পেপার দেওয়া হয়।
ভোটকক্ষের একটি কোণে স্থাপন করা হয় গোপনকক্ষ, যেখানে ভোটাররা ব্যালটে গোপনে সিল দেন।
১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি ভোটকক্ষ রয়েছে।
কে এম নূরুল হুদা (ফাইল ছবি)
সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরে নূরুল হুদা বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরের দৃশ্য ধারণ করে ও ছবি তুলে ভোটকক্ষের বাইরে বারান্দা বা মাঠের যে যে কোনো স্থানে সরাসরি সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই।
“ভোটকক্ষের ভেতরে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টরা থাকেন; সেই সঙ্গে একদল সাংবাদিক সরাসরি সম্প্রচারে গেলে ভোট দেওয়ার কাজ বাধাগ্রস্ত হবে। সব বিবেচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কোনো কোনো কেন্দ্রের পাশে বড় মাঠ রয়েছে, কেন্দ্রও বড় পরিসরের; তাতে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ভিড় হলে তা নিজেদের বিবেচনা করে কাজ করতে হবে। কোনো কোনো কেন্দ্রে খুবই স্বল্প পরিসরের ভোটকক্ষ রয়েছে। তাতে সবার ভিড় থাকলে কাজও ব্যাহত হবে।
“কেউ যেন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করেন, অন্যদেরও সুযোগ দিতে হবে,” বলেন তিনি।
মোবাইল ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি বলেন, সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলতে বাধা নেই। তবে ভোটকক্ষের ভেতরে কথা বলা যাবে না। ছবি তোলা শেষ করে বাইরে এসে এসে কথা বলতে হবে।
ইসির মিডিয়া সেন্টারে এ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত খবর