ভোটে গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ির তাগিদ

পৌরসভা নির্বাচনের সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপের তাগিদ দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2015, 06:11 PM
Updated : 19 Dec 2015, 06:22 PM

২৩৪ পৌরসভায় ভোটের ১০ দিন আগে শনিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে এ তাগিদ দেওয়া হয় বলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্তত এক ডজন কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।

অনলাইন ও টিভি সম্প্রচারে নীতিমালা অনুসরণ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, “ছোটোখাটো ঘটনা তাৎক্ষণিক সম্প্রচারে বহির্বিশ্বে চলে যায়, তাতে একটা প্রভাব পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও স্বল্প সময়ে তা ছড়িয়ে পড়ে।”

ভোটের খবর প্রচারে গণমাধ্যমের জন্য নীতিমালা করে নির্দেশনা যায় কি না- তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, “গণমাধ্যমের কারণে অনেক সময় দ্রুত সংবাদ পাওয়া যায়। তারা ইসিকে সহায়তা করে। বিদ্যমান নীতিমালায় সাংবাদিকরা প্রতিবেদনের কাজ করে থাকে।”

ওই বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিইসি আশ্বাস দেন, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে আগে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হলেও আগামীতে আর হবে না।

“আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছি- আগে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, কিন্তু সামনে যাতে না হয়। সাংবাদিকরাও অনুমোদিত কার্ড নিয়ে ভোটে ব্যাঘাত না ঘটানোর বিষয়টি খেয়াল রাখবেন আশা করি।”

সব ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে সিইসি বলেন, “আমরা আশাবাদী খুবই উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।”

বৈঠকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে যেসব জেলায় জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে, সেসব এলাকায় পথসভায় বিশেষ সতর্কতা রাখার প্রস্তাব করা হয়।

শীত ও কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে বৈঠকে সজাগ থাকার তাগিদ দেন একজন কর্মকর্তা।

এক বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, “ভোটকে সামনে রেখে এখনও ক্ষুদ্রাস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। তা যেন না ঘটে সেজন্য টহল বাড়ানো হবে। এখন পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে। বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশনাও দেবে ইসি।”

প্রতি পৌরসভায় ও কেন্দ্রে রিজার্ভ ফোর্স রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে হেলিকপ্টারও ব্যবহারের প্রস্তুতি রাখা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ভোট পরবর্তী ‘সহিংসতা’ মোকাবেলায়ও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে বলে সিইসিকে আশ্বাস দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরেক সদস্য।