একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
Published : 25 Nov 2018, 02:50 PM
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
জাতীয় সংসদ বহাল রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ বহাল রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তা সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশের (আরপিও) ১২ ধারার পরিপন্থী- এই যুক্তিতে রিট আবেদনটি তিনি করেছেন।
“গত ৮ নভেম্বর আরপিওর ১১(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করে। সেই ঘোষণা স্থগিত বা বাতিল না করে গত ১২ নভেম্বর আবার নির্বাচনের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে।”
ইউনুছ আলী বলেন, “১২ নভেম্বরে ঘোষিত তফসিল আইনসঙ্গত নয় এবং ক্ষমতাবহির্ভূত- এই যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।”
রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চে আসতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী।
তার রিট আবেদনে বলা হয়, “সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেহেতু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক।
“সংবিধানের ৬৬ (২) (চ) এ উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবে না যদি আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।”
রিটে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যরা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছেন। তাই পদটি লাভজনক পদ। তাই সংসদ ভেঙে না দিয়ে তফসিল ঘোষণা অসাংবিধানিক। দুর্নীতি দমন আইন এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদটি লাবজনক।
নির্বাচন কমিশন সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে এই রিটে।