বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুলিশের পক্ষেই অবস্থান জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
Published : 24 Nov 2018, 12:30 PM
তিনি বলেছেন, “পুলিশ প্রশাসন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা আমাদের কথা মান্য করছে। আমাদের কথার বাইরে বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না।”
নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি নিয়ে বিএনপির টানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন নূরুল হুদা।
বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অভিযোগ করে আসছে, পুলিশ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি থামায়নি, ফলে নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে না।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ রয়েছে এবং আইনমতোই এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হলেও স্থানীয় প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সিইসি বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একটি বিশেষ সভা করে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা কাজ করছে। এখানে সরকারের কোনো নির্দেশ নেই। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের নির্দেশ মাঠে যায় এবং সেটাই প্রতিফলিত হয়।”
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী হাকিমদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন নূরুল হুদা।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক এই কর্মকর্তাদের সহায়তা নেয় ইসি। এদের নানা দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা বিষয়ে এই হাকিমদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের উদ্বোধন হয় শনিবার।
শনিবার ১৮টি জেলার নির্বাহী হাকিমরা অংশ নিয়েছে। ২৫ নভেম্বর ও ২৬ নভেম্বরও একই ধরনের অনুষ্ঠান হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যকর্মীরা উপস্থিত থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেন। সাধারণত সিইসি উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার পরই গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা বেরিয়ে আসেন। কিন্তু শনিবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে।
সিইসি বক্তব্য দেওয়া আগে হঠাৎ সাংবাদিকরা ‘চলে যেতে পারেন’ বলে উপস্থাপক ঘোষণা দেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
পরে সিইসিকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “ব্রিফিংয়ের দুটি অংশ থাকে। একটি উদ্বোধনী অংশে গণমাধ্যম থাকতে পারে। পরবর্তীতে থাকতেও অসুবিধা নেই।”