আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বদলি না করার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে ‘একতরফা নির্বাচনের গোপন ছক’ দেখছে বিএনপি।
Published : 23 Nov 2018, 05:06 PM
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিতর্কিতদের’ সরাতে বিরোধী দলগুলোর আহ্বানের বিপরীতে সিইসির এই ধরনের বক্তব্য ‘দলবাজ কর্মকর্তাদের’ আরও বেপরোয়া করে তুলবে।
শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রিজভীর এ মন্তব্য আসে।
তিনি বলেন, “গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না।… ওই সভায় সিইসির নির্দেশনাসমূহ এবং উপস্থিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যে মনে হয়, উভয় পক্ষই সরকারের অনুকূলে একতরফা নির্বাচনের একটা গোপন ছক তৈরি করে রেখেছে।”
রিজভীর ভাষায়, নির্বাচন কমিশন কেবল ক্ষমতাসীনদের জন্যই ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ তৈরি করতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে।
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিতর্কিত ও দলবাজ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে, নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজাতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় এই বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি ‘লঙ্ঘন করে‘ চললেও ইসি ‘নির্বিকার’।
“প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস তাদের সদস্য ব্যাংকগুলোর কাছে প্রায় একশো কোটি টাকার কম্বল দাবি করেছে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির পুরোপুরি লঙ্ঘন।”
রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে চিঠি পাঠানোর ফলে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছে না। নির্বাচন প্রভাবিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে পারিবারিক সম্পত্তির মত ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা এর নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।”
বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “মনোনয়নপ্রত্যাশীদের একজন যশোরে আবু বকর আবুকে একেবারে জীবন্ত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, এহছানুল হক মিলন- এ ধরনের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।”
গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে।
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আশরাফউদ্দিন বকুল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।