বিদেশ ভালো: পোলিশ বিবসনা নর্তকীর সাথে এক সন্ধ্যায়

একবার যৌনপল্লীতে গিয়েছিলাম গবেষণার জন্য। এবার নগ্ন নর্তকীর নৃত্যালয় নিয়ে গল্প। গল্প মানে কী, সত্য ঘটনা!

রিনভী তুষার, জার্মানির বার্লিন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2017, 11:37 AM
Updated : 5 Feb 2017, 12:39 PM

গল্প শোনার শর্ত আছে। গল্প শুনবেন এবং ভুলে যাবেন। আপনার কাজ গবেষণা করা না। এটা গল্পকারের কাজ। যদি নিজেকে আটকাতে না পারেন ... তবে এখানেই ক্ষ্যামা দেন।

আসছি ওয়ারশ’তে। পোল্যান্ডের রাজধানী। এখানে সবই হয়, আবার কিছুই হয় না। ক্যাথলিক মোল্লাদের দেশ বলে কথা। আমরা ছয়-ছয়টা ছেলেমেয়ে এদিক-ওদিক ঘুরি। নানারকম বদমাইশির ফন্দি-ফিকির করি। বাই দা ওয়ে, চায়নিজ কিন্তু এই রাত্তের বেলার দলে নাই।

আমাদের টিমের নিকি নয়েমানের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? ওই যে ফাকিবাজ ছেমরি। সে দেখি তুখোড় ছেলেধরা। একদিন ক্লাবে গেলাম। ক্লাব দুই তলা। নিচে ছেলে, উপরে মেয়ে। এখানে মেয়েদের রঙিন পানীয় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। আমাদের দলের তিন মেয়ে সেই রঙিন পানীয় টয়লেটে গিয়ে বোতলে ভরে। তারপর আমাদের চালান করে। আমরা পান করি না। শুধু শুঁকি। কারণ আমরা ছেলে ভালো... শুধু মাঝে মাঝে পেঁয়াজ খাই।

ছবি: রয়টার্স

সেদিনের পরের দিনের কথা। কোন ক্লাবেই ফ্রি কিছু নাই। এমনকি এন্ট্রিতেও টাকা। ছেলে-মেয়ে সমান বিষয়। নিকি এক ফ্রেঞ্চ ছেলেকে পটালো। ছেলে ওকে নিয়ে গেলো ক্লাবে। এতোদিন জানতাম, এক রাতের খেলোয়ার হিসাবে, মানে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে ফরাসি নারী আর ইতালিয়ান পুরুষরাই সেরা। এবার দেখি ফরাসি ছেলেরাও কম যায় না!

আমরা হতাশ! দলের নাচুনে বুড়ি ফরাসগঞ্জে মানে ফরাসির সাথে। আমরা শীতের মধ্যে খোলা মাঠে বসে। হঠাৎ দেখি নিকি দৌঁড়ে আমাদের দিকে আসছে। বিষয় কি? তেমন কিছুই না, ফরাসি যুবক ওকে বিয়ার খাওয়াতে খাওয়াতে ক্লান্ত। এখন সে চায় নিকি যেন তার ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি কিছু একটা হয়। নিকি এখন আমাদের দু’জনের একজনকে বয়ফ্রেন্ড বানাতে চায়। ফরাসির মাসি বা পিসি- কোনটা হবার ইচ্ছাই ওর নাই।

ব্রুনো মেক্সিকান। নিকি আমেরিকান। আমি ব্রুনোকে বললাম- হিসাবে আশেপাশের চল্লিশ দেশ আমাদের প্রতিবেশি। আর আমিরিকা তো তোমাগো দুবাই। সুতরাং তোমার প্রতিবেশি তুমি সামলাও।

ফরাসি হাজির। ব্রুনো নিকিরে খানিকটা জড়িয়ে প্রেম প্রেম দেখাচ্ছে। ফরাসি বেচারা কষ্ট পেলো। বললো- আমি জানতাম না নিকি তুমি এনগেজড্।

আমরা বললাম-আমরাও জানতাম না।

বেচারা মাতাল হয়ে রাস্তায় বসে পড়লো। ফরাসিকে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে আমরা আবার বের হলাম।

কি করা যায়? ইথিওপিয়ান বেজা বললো- চলো, স্ট্রিপটিজ দেখি।

আমি বলালাম- ওইটা ছেলেদের জন্য। গার্লস নট অ্যালাওড।

ও বললো- শীতের রাত। আমরা হুড পরে ছেলে সেজে যাবে।

যেই কথা সেই কাজ, শরমের মাথায় বাজ। আমরা পাঁচজন স্ট্রিপ ক্লাবে ঢোকার টিকিট কাটলাম।

ভেতরে লালচে অন্ধকার। কিছু লোকজন আরামকেদারা মানে ইজি চেয়ারে বসা। এদের মধ্যে কিছু সাউথ ইন্ডিয়ান তামিল। সবাই মাতাল। আমরাও খানিকটা মাতলামির অভিনয় করলাম। কিছুক্ষণ পরেই শো শুরু হবে। আমরা মেয়েদের দেয়ালের দিকে  ঠেলে দিলাম।

আমার মধ্যবিত্ত মাথায় রবীন্দ্রনাথ গাইছেন-

"ফেলো গো বসন ফেলো- ঘুচাও অঞ্চল।

পরো শুধু সৌন্দর্যের নগ্ন আবরণ

সুরবালিকার  বেশ কিরণবসন।"

তবে কি রবী বাবুও আমার মতো স্ট্রিপ ক্লাবে গিয়েছিলেন...!

আমি রবীন্দ্রনাথকে দূরে ঠেলে দিলাম। এই ক্ষণ আমার রবীবাবুর নয়।

আমাদের বসার জায়গা থেকে মঞ্চের পেছনটা দেখা যায়। আটসাট জামা পরা আট-দশজন মেয়ে দাঁড়ানো। মিউজিক শুরু হতেই একে একে সার্কাসের প্রাণিদের মতো মঞ্চে হাজির হচ্ছে।

হঠাৎ দেখি মারাইকের মুখে হাত। ওর নাকি বমি পাচ্ছে। আমরা সবাই টয়লেটে ভো-দৌঁড়। নাচ শুরুর মিনিট দুয়েক পার না হতেই আমাদের মাথায় রবীন্দ্রনাথ প্যাঁচ খেয়ে গেছে!

গেইট আটকানো। ডাকার মতো কেউ নেই পাশে। আমরা পাঁচজন ড্যান্স হলের বাইরে। আমার মাথা ঘুরছে। বাকিদের অবস্থা জানি না। মধ্যবিত্তের ছেলেদের দৌঁড় এই গেইট পর্যন্তই। সে কথা আবার বোঝা হলো।

কিন্তু হঠাৎ-ই চিৎকার শুনলাম। মিউজিক থেমে গেছে। মেয়েরা চিৎকার করছে। গেট আউট! গেট আউট! আমরা আর কতো আউট হবো? আমরা তো আউট-ই। উঁকি দিয়ে দেখি বাউন্সার মাতাল ইন্ডিয়ানদের সমানে ঠেলে যাচ্ছে। ঠেলতে ঠেলতে আমাদের সামনে নিয়ে এলো। ওদের বলা হচ্ছে বের হয়ে যেতে। কিন্তু বাবুরা কেউই যাবেন না। কারণ নর্তকীদের একজনকে তাদের বেশ মনে ধরেছে। তারা তাকে নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে চায়। এই যেন মামার বাড়ি!

কিছুক্ষণ পর দেখতে কিছুটা ইন্ডিয়ান একটা মেয়ে এসে সশব্দে চড় বসিয়ে দিলো এক মাতাল ইন্ডিয়ানের গালে। ওর অভিযোগ, এ ব্যাটা নাচের সময় ওর গায়ে হাত দিয়েছে। চড় বসিয়েই মেয়ে কান্না জুড়ে দিলো। সে কি কান্না!

আমাদের ছেলে  সেজে থাকা মেয়েদের নারীত্ব জেগে উঠলো। ওরা সেই মেয়েকে সরিয়ে নিলো। আমি সেই মেয়েকে আমারা নাকের জল-চোখের জল মেশানো রুমাল এগিয়ে দিলাম। সে তা নিলো।

একদিকে সাউথ ইন্ডিয়ানদের 'আন্ডালা-মান্ডালা' ভাষায় চেঁচামেচি, তার ওপর আবার মেয়েদের ছেলে সাজিয়ে স্ট্রিপটিজ দেখতে আসার ভয়!

আমার তখন নাচ চাই না, নর্তকী সামলাও দশা! বললাম- গেইট খুলো, বের হবো।

বাউন্সার বললো- ম্যানেজার আসলেই গেইট খোলা হবে।

মহা মুসিবতে পড়লাম! মিনিট দশেক এই অবস্থা চলছে। কিছুক্ষণ পর গেট খোলা হলো। আমি আর ব্রুনো মানে মানে বের হয়ে গেলাম। বের হয়েই মনে পড়লো মেয়েদের কথা।

হায় হায় এখন! ওরা যদি টের পায় আমাদের সাথে মেয়ে ছিলো তখন! 

ব্রুনো বললো- টের পেলে কি আর হবে? ওদেরকেও নাচাবে। এমন ঝামেলার সময় এমন  মজা মেক্সিকানরাই করতে পারে!

হঠাৎ নিজেদের নাম শুনে পেছনে তাকালাম। চারজন মেয়ে আমাদের দিকে আসছে। ওরা আসছে স্ট্রিপ ক্লাবের পেছনের দিক থেকে। অন্ধকারে চেহেরা স্পষ্ট না। একটু পর বুঝলাম, আমার বন্ধুত্রয়। আহ, এতক্ষণে হাফ ছাড়লাম!

কিন্তু ওরা তিনজন চারজন হয়ে গেলো কি করে? সাথে কে? একি সেই চড় দেওয়া নর্তকী!

আমি ভাবলাম- এবার বোধহয় আমার পালা (আমার চেহারা নাকি দেখতে অনেকটা তামিল তামিল)। যাই হোক, কাছে আসতেই সেই নর্তকীর ঝরঝরে হাসি। আমাকে রুমাল ফেরত দিলো।

আমি বললাম- নাহ্, এটা তোমার। রেখে দাও ( ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন রুনা লায়লার- ‘রুমাল দিলে ঝগড়া হয়, ফুল দিলে কি হয় বলো না’ বাজছে....)। এতো কান্নাকাটি, 'আন্ডালা-মান্ডালা' ঝামেলারও মাঝেও সে রুমালের মালিককে ভোলে নাই। অবাক হলাম!

আমরা চুপ। একসাথে হাঁটছি। ওকে আড়চোখে দেখছি। এতো সুন্দর একটা মেয়ের কেন এই পেশায় আসতে হলো? খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।

আমরা মেইন রোডে এসে দাঁড়ালাম। এখানে বেশ কড়া আলো। সবাই সবার চেহারা দেখলাম।

নর্তকী কথা বলে উঠলো- সরি, তোমাদের রাতটা নষ্ট হলো। এখন কি করবে তোমরা?

আমরা- এই আর কি! একটা কোথাও বসবো। পিজ্জা খাবো। আড্ডা দিবো।

সে বললো- আমি কি আসতে পারি?

দলের মেয়েরা আমাদের ‘হ্যাঁ’ বলার সুযোগ দিলো না। ওরাই ‘হ্যাঁ’ বলে দিলো।

সিলভিয়া (নর্তকীর নাম)- বললো আমার বাসায় চলো। আমি তোমাদের পিজ্জা খাওয়াবো। হোম মেইড।

আমরা একটু গাইগুই করে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের সবার পকেটের খবর মোটামুটি সবারই জানা আছে।

পথ আর শেষ হয় না! শীতের রাতে আমরা সবাই কথা হাতরাতে হাতরাতে হাঁটছি। জুতসই কোন টপিক খুঁজে পাচ্ছি না। সিলভিয়া হঠাৎ গান গেয়ে উঠলো। অসম্ভব সুন্দর গানের গলা। আমরা মুগ্ধ হয়ে গান শুনছি আর হাঁটছি। গানের আগা-মাথা বুঝছি না। কিন্তু গানটা সুরেলা।

গান থামলো। সিলভিয়াও। বাসা এসে গেছে। ও বললো- প্রতিদিন রাতে একা একা বাড়ি ফেরার সময় গুনগুনিয়ে এই গানটা আমি গাই। আজ তোমাদের শুনিয়ে শুনিয়ে গাইলাম।

সিলভিয়ার বাসা বলতে সামান্য গ্যারেজের পাশে এইটুকুন একটা ফ্ল্যাট। ছোট্ট একটা বেডরুম। সাথে প্রায় 'নাই', 'নাই' কিচেন। টয়লেট আর শাওয়ার আলাদা।

আমরা গাদাগাদি করে ওর রুমে বসলাম। ও আমাদের বসিয়ে ওভেন গরম করতে দিয়ে শাওয়ারে চলে গেলো। শাওয়ার থেকে ফিরলো মিনিট পনেরো পর। এইবার একটু লেখকের চোখে ওকে দেখার চেষ্টা করলাম। মেকাপ ছাড়াও যথেষ্ট সুন্দর এই মেয়ে। 

সিলভিয়া জিজ্ঞেস করলো- তোমাদের মধ্যে সালাদ বানাতে পারে কে?

সবাই আমাকে দেখিয়ে দিলো। সবাই টায়ার্ড। আমিও। কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাকেই এগোতে হলো। 

সিলভিয়া ফ্রিজ থেকে পিজ্জা বের করলো। আমি বললাম- এই না বললে তুমি আমাদের হোম মেইড পিজ্জা খাওয়াবে?

: আর ইউ ম্যাড! রাত কয়টা বাজে? ওটা তো তখন তোমাদের লোভ দেখানোর জন্য বলেছিলাম। না হলে কি আর তোমরা এতো দূর আসতে আমার সাথে!

: লোভ দেখালে কেন?

: তোমাদের বিষয়ে আমি জানতে চাই। জানতে চাই কেন তিনটা মেয়ে মুখ ঢেকে তাদের মতো মেয়েদেরই ন্যাংটা নাচন দেখতে এসেছে? (কথায় খানিকটা ঝাঁজ টের পেলাম)

: ওরা যে মেয়ে তা তুমি কখন টের পেয়েছে?

: যখন তোমরা হলে ঢুকলে, তখনই। এখানে কেউ মুখ ঢেকে মেয়েদের নগ্ন শরীর দেখতে আসে না।

: সরি।

: সরি হবার কী আছে? পিজ্জা রেডি হচ্ছে। সালাদ বানাও। আমি কফি বানাচ্ছি। (রীতিমতো হুকুম চললো আমার উপর)

পিজ্জা নিয়ে আমরা সবাই গোল হয়ে বসলাম। আমরা যে শুধুমাত্র ঝোঁকের মাথায় সিলভিয়ার ক্লাবে গিয়েছিলাম, আমাদের দলের মেয়েদের যে অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলো না- সেটা আমরা ওকে বোঝাতে পারলাম।

আমাদের গল্প তো আমাদের জানা। সিলভিয়ার জীবনের গল্প শোনাই।

সিলভিয়ারা দুই বোন। বাবা থেকেও নেই। সিলভিয়ার মা রোমানিয়ান জিপসি (এটাই ওর ইন্ডিয়ান লুকের রহস্য)। পোল্যান্ডের ছোট্ট একটা শহরে ও থাকে। ইকোনোমিক্স পড়ছে। সেকেন্ড ইয়ার। পড়াশোনায় দু’বছর গ্যাপ ছিলো। সিলভিয়া হোমোসেক্সুয়াল (সমকামী)। রিসেন্টলি ওর সাথে ওর পার্টনারের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। মঞ্চে উঠে গায়ের কাপড় ছুঁড়ে ফেলতে ওর ভালো লাগে না। আবার ঠিক খারাপও লাগে না।

বললাম-কেমন লাগে তাহলে?

সিলভিয়া জানালো- আমি তো গে ( পোলান্ডে ছেলে কিংবা মেয়ে দুই ধরনের সমকামীর জন্যই  'গে' ব্যবহৃত হয়)। আমার স্ট্রিপারের অভিজ্ঞতা আমার দলের স্ট্রেইট মেয়েদের মতো না। ওদের অনেকেই মাঝে মাঝে কান্না করে। কিন্তু আমি করি না। আজকে ওই ইন্ডিয়ানটা আমাকে অনেক বাজে কথা বলেছে। আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমি খুব অপমানিত হয়েছি। সবাই ভাবে এটা ‘ইজি মানি’। আসলে এটা কতো ইজি? আমি যদি তোমাকে একশ’ স্লতে (পোলিশ মুদ্রা) দেই, তুমি পাঁচ মিনিটের জন্য ন্যাংটো হয়ে আমার সামনে নাচতে পারবে? পারবে না। এটা খুবই অস্বস্তির। এখানে যারা আসে তাদের আমি ঘৃণা করি। এরা আবার ভাবে আমরা পতিতা। আমাদের ভাড়া করতে চায়। এদের পুরুষত্ব নিয়ে আমার ঘেন্না হয়!

আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওর কথা শুনে গেলাম। এ যেন জ্বালাময়ী এক নারী। তবে এ পেশায় কেন?

সিলভিয়া বললো- মা আর ছোট বোনকে দেখতে হয়। ছোট বোনের আমেরিকা বেড়াতে যাওয়ার খুব শখ। ওকে কথা দিয়েছি নেক্সট সামারে বেড়াতে নিয়ে যাবো। আমি এতো কিছু করি, তবু জানো তো আমার মা আমাকে ভালোবাসে না। কারণ আমি গে। আমার মা গোঁড়া ক্যাথলিক। আমার বাবার জন্য মা ক্যাথলিক হয়েছে। কিন্তু বাবাই আমাদের দেখলো না।

: তোমার মা জানে?

: নাহ, জানে না। মা জানে, আমি এখানে একটা হোটেলে কাজ করি।

: তোমার কোন পরিচিত যদি তোমাকে দেখে ফেলে তাহলে?

: সম্ভাবনা খুবই কম। শো শুরুর আগে আড়াল থেকে প্রতিটা কাস্টমারকেই আমরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। যদি কাউকে দেখে সন্দেহ হয়, তবে চোখ ঢেকে নেই মাস্ক দিয়ে। আলোটাও দেই কমিয়ে।

এই হলো সিলভিয়ার সাতকাহন। সারা রাত আমরা পার করে দিলাম সিলভিয়ার গল্প শুনে। সকাল বেলা সিলভিয়াকে নিয়ে হোস্টেলে ফিরলাম। আজ রাতে সিলভিয়ার জন্য রান্না করবো। মেগা ফেস্ট। সিলভিয়া একরাতেই আমাদের চোখে হিরো বনে গেছে।

আমরা রাতের খাবার একসাথে খেয়েছিলাম। সিলভিয়াও আমাদের নেচে-গেয়ে দেখিয়েছিলো। তবে সেই নাচ আর গান ছিলো জীবনের। আমরা একসাথে চিৎকার করেছিলাম। গেয়েছিলাম- জীবন অনেক সুন্দর।

লেখক: গবেষণা আর লেখালেখির চেষ্টা করেন

লেখকের ই-মেইল: kurchiphool@gmail.com

ফটো ক্রেডিট: নিকি নয়েমান এবং রিনভী তুষার ও ছবি: রয়টার্স ।

রিনভী তুষারের আরও লেখা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!