এর আগে দু’দিনের আলোচনায় অগ্রগতি হয়নি। বিবাদমান দুইপক্ষ এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাইলেও নিজ নিজ দাবিতে অনড় রয়েছে- বলছেন, মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা।
Published : 05 Mar 2024, 10:25 PM
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। বাড়তি এই একদিনের আলোচনার জন্য মিশরের রাজধানী কায়রোয় থেকে গেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আলোচকরা।
এর আগে দুইদিনের আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। কায়রোর এ আলোচনাকে গাজার চলমান লড়াইয়ে প্রথম একটি দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন এ প্রস্তাবের আওতায়, ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে।
তাছাড়া, গাজায় ঘনিয়ে আসতে থাকা দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পবিত্র রমজান শুরুর আগেই সাহায্য সরবরাহের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। রমজান আগামী সপ্তাহের প্রথমেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
হামাসের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘আরও আলোচনার জন্য মঙ্গলবার কায়রোতে থাকবে তাদের প্রতিনিধি দল। এদিনই সন্ধ্যায় তারা আলোচনার এই দফা শেষ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, বিবাদমান দুইপক্ষই এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাইছে। কিন্তু নিজ নিজ দাবিতে অনড় রয়েছে। ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্র গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে।
কায়রোর আলোচনায় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল উপস্থিত নেই। তারপরও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এর আগে, রয়টার্সকে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, দুই দিনের আলোচনার সময় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব পেশ করেছিল হামাস। এখন হামাস এ প্রস্তাবে ইসরায়েলিদের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় আছে।
নাইম আরও বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিতে পৌঁছতে চান না। এখন তাকে একটি চুক্তি করার জন্য চাপ দিতে পারে আমেরিকা।”
কায়রোর যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে ইসরায়েল প্রকাশ্যে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের কারণে চুক্তি আটকে আছে এমন কথা অস্বীকার করেছেন ঊর্ধ্বতন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছার সবরকম চেষ্টা করছে। আমরা হামাসের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।”