নেটোভুক্ত পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের পর জরুরি বৈঠকে বিশ্ব নেতারা

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দজেই ডুডা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী কে তার ‘অকাট্য প্রমাণ’ নেই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2022, 04:08 AM
Updated : 16 Nov 2022, 04:08 AM

ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে নেটো সামরিক জোটভুক্ত পোল্যান্ডের একটি গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে দুই জন নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ দেশটির সীমান্ত পেরিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে এ ঘটনার জন্য রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রকে দায়ী করা হলেও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দজেই ডুডা বলেছেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী কে তার ‘অকাট্য প্রমাণ’ নেই।

এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় মস্কো জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, “যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার উস্কানির লক্ষ্যে সচেতনভাবে এ অভিযোগ করা হচ্ছে।”

বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য নেটো ও বিশ্ব নেতারা মিলিত হয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জি৭ ভুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, ব্রিটেন ও জাপানের নেতাদের পাশাপাশি স্পেন ও নেদারল্যান্ডের নেতারাও জরুরি এ বৈঠকে যোগ দেন। জি২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে তারা সবাই এখন বালিতে আছেন। জাপান ছাড়া বাকি দেশগুলো সামরিক জোট নেটোর সদস্য।

এ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সম্ভবত’ রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়নি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো মিত্ররা ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছে।

Also Read: জি২০ সম্মেলনের প্রথমদিনে ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

রাশিয়া মঙ্গলবার ইউক্রেইনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে অন্যতম বড় এ হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভেও হামলায় হয় এবং অন্তত একজন নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ দিনই ইউক্রেইন সীমান্ত থেকে ছয় কিলোমিটার ভেতরে পোল্যান্ডের একটি শস্যাগারে একটি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ার পর বিস্ফোরণ ঘটে, এতে অন্তত দুই জন নিহত হয়।

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম সেবোদুফে আঘাত হেনেছে।

ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরি, মন্ত্রণালয়টি প্রথমে এমনটি জানিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা’ চেয়েছিল।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকে পোল্যান্ড। এ বৈঠকের পর দেশটির সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়।

এ সময় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে। এ ঘটনাকে ‘(উত্তেজনার) খুব গুরুত্বপূর্ণ বৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পোল্যান্ডে বিস্ফোরণ কিইভের বাহিনীর ছোড়া ‘সারফেস-টু-এয়ার’ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে হয়েছে, এমন ধারণাকে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।