ইউক্রেইন যুদ্ধকে রাশিয়ার টিকে থাকার লড়াই প্রমাণের চেষ্টায় পুতিন

পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভাগ করে ফেলতে চাইছে। যাতে তারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কাঁচামাল উৎপাদনকারী দেশটিকে নিয়ন্ত্রণে করতে পারে- বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2023, 03:56 PM
Updated : 26 Feb 2023, 03:56 PM

ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমাদের সঙ্গে যে সংঘাতে জড়িয়েছেন, সেটিকে তিনি রাশিয়া ও রাশিয়ার জনগণের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বলে প্রামণ করতে চাইছেন।

তিনি এও বলেছেন, নেটোর পারমাণবিক সক্ষমতাকে বিবেচনায় নিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রসনের এক বছর হয়ে গেছে। এই এক বছরে পুতিন এই যুদ্ধকে রাশিয়ার ইতিহাসে ‘করো অথবা মরো’ মুহূর্ত হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বলছেন, রাশিয়া ও দেশটির জনগণের ভবিষ্যত বিপদের মধ্যে রয়েছে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।

রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টেলিভিশনে পুতিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। যেখান পুতিন বলেন, ‘‘তাদের একটিই লক্ষ্য: সেটা হল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সেটির মূল অংশ রাশিয়াকে ভেঙে টুকরো করে ফেলা।”

গত বুধবার পুতিনের এই সাক্ষাৎকার ধারণ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নেটো এবং পশ্চিমরা পুতিনের এই ধারণাকে অমূলক বলে বর্ণনা করেছে। বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য বিনা উসকানিতে আক্রান্ত হওয়া ইউক্রেইনকে নিজেদের সুরক্ষায় সহায়তা করা।

ওই সাক্ষাৎকারে পুতিন আরও বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভাগ করে ফেলতে চাইছে। যাতে তারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কাঁচামাল উৎপাদনকারী দেশটিকে নিয়ন্ত্রণে করতে পারে।

যা দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ রুশ জাতিসহ রাশিয়ার অনেক মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে একটি পদক্ষেপ মাত্র বলেও মনে করেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এমনকি এও জানি না, রাশিয়ার জনগণের মতো একটি জাতিগোষ্ঠী আজ যেভাবে টিকে আছে তারা সেভাবে আর টিকে থাকতে পারবে কিনা।

‘‘পশ্চিমারা কাগজে-কলমে এই পরিকল্পনাই করেছে।” এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাশিয়াকে ধ্বংস করার কোনো পরিকল্পনা থাকার কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে। যদিও দেশটির প্রেসিডন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ও নেটোর মধ্যে কোনো ধরণের সংঘাত হলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।

পুতিনের আর রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা উচিত না বলেও মত বাইডেনের।

বাইডেন নেটোর সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ উসকে দেবে বলে সতর্ক করলেও পুতিন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো যেভাবে ইউক্রেইনকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করছে তাতে রাশিয়াকে এখনই নেটোকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

এদিকে, ইউক্রেইন তো পণ করে বসে আছে। তাদের ভূখণ্ড থেকে শেষ রুশ সেনাকে না তাড়ানো পর্যন্ত তারা থামবে না। এমনকি, ২০১৪ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমেয়াও তারা এবার উদ্ধার করে তবেই ছাড়বে।