পাকিস্তানে গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার প্রথম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে।
দেশের মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে ইমরান তার একমাত্র আশার জায়গা বিচারবিভাগ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি দেশে মৌলিক অধিকার লংঘন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, অধিকার লঙ্ঘন নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইমরান তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখার বিষয়ে হতাশাজনক অভিজ্ঞতার কথাও সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
বলেছেন, তার জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশ দু’বার অভিযান চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এমন অভিযানের সময় তার স্ত্রী বুশরা বিবি ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ শক্তি প্রয়োগ করেছে। দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে ঢুকেছে। এটি নজিরবিহীন এবং দুঃখজনক ঘটনা বলে বর্ণনা করেন ইমরান খান।
দেশের অবনতিশীল গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০টি মামলা করা হয়েছে। দেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে এত মামলা দায়ের হয়নি।
সরকার নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, নির্বাচন হলেই সরকার বড় ব্যবধানে পরাজিত হবে বলে তারা মনে করছে। সরকারের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে যে, নির্বাচন হলেই পিটিআই এর জোয়ারে তারা ভেসে যাবে।
বৈরি রাজনৈতিক আবহের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন জোট একমাত্র তখনই নির্বাচন দিতে পারে, যদি তারা তাকে জেলে ঢোকাতে পারে কিংবা হত্যা করতে পারে।
দু’বার তাকে হত্যার চেষ্টা চলেছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন তিনি।
গত ৯ই মে ইমরান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার দলীয় নেতাকর্মীরা যে সহিংসতা চালিয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি যে কোনও রকম সহিংসতার নিন্দা জানান।