ফরাসি সেনারা ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে’ দেশটি ছাড়বে বলে মাক্রোঁ জানিয়েছেন।
Published : 16 Jan 2024, 04:05 PM
গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে সেনা শাসনে চলে যাওয়া নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত ও সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ।
রোববার ফ্রান্স টু টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “(নাইজার থেকে) রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত ও বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবে।”
নাইজারের সঙ্গে ফ্রান্সের সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ হয়েছে’ এবং ফরাসি সেনারা ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে’ দেশটি ছাড়বে বলে মাক্রোঁ জানিয়েছেন।
নাইজারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা ফ্রান্সের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করতে যাচ্ছি।”
পশ্চিম আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশ নাইজারে ফ্রান্সের প্রায় দেড় হাজার সৈন্য আছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সেখানে ফরাসি উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। রাজধানী নিয়ামেতে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
দেশটির জান্তা সরকারও সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের উপস্থিতির অবসান চায়। পরিস্থিতির চাপে অবশেষে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানাল ফ্রান্স।
মাক্রোঁ নাইজারের বৈধ সরকার হিসেবে সামরিক জান্তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন। তবে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় প্যারিস জান্তা নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন।
নাইজার থেকে ফ্রান্স সরে গেলে ওই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা পশ্চিমা শক্তিগুলোর। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগানার গ্রুপ ইতোমধ্যে নাইজারের প্রতিবেশী মালিতে উপস্থিত হয়েছে। নিরাপত্তা দিতে দেশটির জান্তা সরকারকে সহযোগিতা করছে তারা।
সংবাদসূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)