ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসী হামলা বলে সন্দেহ, জড়িত এক নারী

সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। কেনাকাটা করতে, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এবং পর্যটকরা সেখানে ভিড় করেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2022, 03:51 PM
Updated : 13 Nov 2022, 03:51 PM

তুরস্কের সর্ববৃহৎ নগরী ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রে একটি ব্যস্ত শপিং স্ট্রিটের ফুটপাতে বিস্ফোরণে অন্তত ছয়জন নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছেন।

ইস্তাম্বুলের বিয়োগু জেলার ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে রোববার ওই বিস্ফোরণের পর অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে দেখা গেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ দ্রুত বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেছে।

এর আগে ২০১৬ সালে ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) ওই হামলায় ৩৮ জন নিহত এবং ১৫৫ জন আহত হয়েছিল।

রোববারের বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি এবং সংবাদ সংস্থা আনাদলু।

কেউ এখনো এ হামলার দায় স্বীকারও করেনি বলে জানায় রয়টার্স।

ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ারিকায়া টুইটারে এক পোস্টে জানান, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে তিনি চারজন নিহত এবং ৩৮ জন আহত খবর দিয়েছিলেন।

পরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ছয়জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হওয়ার খবর দেয়।

রয়টার্সের একজন প্রতিনিধি তাকসিন স্কয়ারের কাছে একটি হেলিকপ্টার উড়তে এবং অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন।

রয়টার্সের হাতে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তুপ আকাশে ছিটকে উঠেছে এবং তার পরপরই বেশ কয়েকজনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে তুরস্ক এবং তুরস্কের জনগণকে হারানোর চেষ্টা আজও ব্যর্থ হয়েছে, যেমনটা গতকাল ব্যর্থ হয়েছিল এবং আগামীকালও তা ব্যর্থ হবে।

‘‘আমি আমার জনগণকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই হামলার পেছনে দায়ী অপরাধীদের তাদের প্রাপ্য শাস্তি দেয়া হবে। এটা একটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল, এখনই এমনটা বলা ভুল হবে। তবে প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং আমাদের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী এটা সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে হচ্ছে।”

যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে এ হামলার পেছনে একজন নারীর ভূমিকা থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

ইস্তিকলালে একটি রেস্তোরাঁর কর্মী মেহমেত আকুস বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। লোকজন ভয়ে জমে গিয়েছিল এবং একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছিল। তারপর লোকজন দৌড়ে পালাতে শুরু করে। এছাড়া আপনি আর কীবা করতে পারতেন।

‘‘আমার স্বজনরা আমাকে ফোন করেছেন। তারা জানেন আমি ইস্তিকলালে কাজ করি। আমি তাদের আস্বস্ত করেছি।”

কাছের কাসিমপাশা পুলিশ স্টেশন থেকে রয়টার্সকে বলা হয়েছে, তাদের সব কর্মী ঘটনাস্থলে গেছেন। আর কোনো তথ্য তারা দিতে পারেননি।