“এটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার জাভায় একটি থিম পার্কের ভবন, যেটি ভূমির অনুমোদনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভেঙে ফেলা হয়।”
Published : 15 Mar 2025, 11:39 PM
ইন্দোনেশিয়ার জাভায় পার্ক ভেঙে ফেলার দৃশ্যকে ‘ভারতে মসজিদ ভেঙে ফেলা’ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি ঘটনা শনাক্ত করার তথ্য দিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ভারতীয় বার্তা সংস্থাটি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ মসজিদের মত দেখতে ফিরোজা রঙের একটি অবকাঠামো ভাঙার ভিডিও শেয়ার করেন। সঙ্গে দাবি করেন, এটি ভারতে অবৈধভাবে নির্মিত একটি মসজিদ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার দৃশ্য।
‘পিটিআই ফ্যাক্ট চেক ডেস্ক’ তথ্য ঘেঁটে বলছে, তাদের এই দাবি সত্য নয়।
তারা অনুসন্ধানে দেখেছে, এটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার জাভায় একটি থিম পার্কের ভবন, যেটি ভূমির অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভেঙে ফেলা হয়। এখানে ভারত ও মসজদিকে টেনে আনা অপ্রাসঙ্গিক।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে আসে গত ১১ মার্চ। এটির ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘ভারতে অবৈধ মসজিদ ভাঙতে বুলডোজার’।
পিটিআই বলছে, ভিডিওটি ১৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ২২ লাখের বেশি বার দেখা হয়।
‘পিটিআই ফ্যাক্ট চেক ডেস্ক’ বলছে, তারা ভিডিওটি ‘ইনভিডের’ মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখেছে, যেখানে একাধিক ‘কিফ্রেম’ মিলেছে।
এর মধ্যে একটি ‘কিফ্রেম’ বলছে, বিভিন্ন ব্যবহারকারী একই ভিডিও একই ক্যাপশনে শেয়ার করেছেন।
এরপর আরও অনুসন্ধান চালিয়ে ফ্যাক্ট চেক ডেস্ক দেখতে পায়, গত ৭ মার্চ ইউটিউবে ভিডিওটি আপলোড হয়।
এর শিরোনামে ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় লেখা ছিল, ‘হিবিস্ক ফ্যান্টাসি ট্যুরিজম পার্কের ইতি’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জাভার পার্কটি ভেঙে ফেলার ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে পিটিআই সেগুলোর তথ্য ও লিংকও দিয়েছে খবরটির সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমটির অনুসন্ধান টিম বলছে, এ খবর নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একই ভিডিও শেয়ার করেছে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম। সেটিরও ক্যাপশনে পার্কের একটি অবৈধ স্থাপনা ভাঙার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পার্ক ভাঙার এ ঘটনা নিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন আছে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ট্রাইবুননিউজের’। এ ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে ‘সিএনএন ইন্দোনেশিয়াও’।
ভেঙে ফেলার কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভবনটি আবাদি জমিতে তৈরি করা হয়েছিল। এতে সেখানে বন্যা হওয়ার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পার্কের অবকাঠামো নির্মাণে নিয়মও মানা হয়নি বলে খবরে তুলে ধরা হয়।
পিটিআই এর ফ্যাক্ট চেক ডেস্ক এসব খবর বিশ্লেষণ করে সেগুলোর তথ্যসূত্রসহ পার্কটির বিভিন্ন ছবি ও ভেঙে ফেলার ছবি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।