বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীলভাবে সামরিক ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো সাবধানে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও দুই নেতা গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ
Published : 17 Nov 2024, 05:50 PM
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নয়, বরং মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে একমত পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেন ও শি’র বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজ এ বিবৃতি দেয়।
এতে আরও বলা হয়, “বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীলভাবে সামরিক ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো সাবধানে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও দুই নেতা গুরুত্ব দিয়েছেন।”
এই মতৈক্যের সূত্র ধরে দুই নেতা এ বিষয়ে আরও আলোচনা করবেন কিনা বা কোনও ব্যবস্থা নেবেন কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। তবে এটি দুটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ, যে বিষয় দুটিতে অগ্রগতি এতদিন অধরা ছিল। বিষয় দুটি হচ্ছে: পারমাণবিক অস্ত্র এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
পারমাণবিক অস্ত্র আলোচনায় দীর্ঘদিনের প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়ার জন্য বেইজিংকে কয়েকমাস থেকেই তাগাদা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। দুই দেশ নভেম্বরে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সরকারি পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শুরু করেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই আলোচনা থমকে আছে। চীনের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ্যেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা।
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র জেনিভায় গত মে মাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করেছিল। তবে সেই আলোচনায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেই ধারণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতবছরের হিসাবমতে, চীনের ৫০০ টি সচল পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সম্ভবত তা ১০০০ ছাড়িয়ে যাবে।