এছাড়াও ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত ‘প্যাট্রিয়ট’ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও মোতায়েন করা হবে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
Published : 22 Oct 2023, 09:22 PM
ইসরায়েল-হামাস চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যে টান টান উত্তেজনার মধ্যে সেখানে ‘টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ বা (থাড) প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
এছাড়াও পারস্য উপসাগর অঞ্চলে অতিরিক্ত ‘প্যাট্রিয়ট’ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও মোতায়েন করা হবে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার জবাবে এসব ব্যবস্থা মোতায়েন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নৌশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। মোতায়েন করেছে দুটি বিমানবাহী রণতরী এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু জাহাজসহ প্রায় ২ হাজার মেরিন সেনাও।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের এই সময়ে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াশিংটন উচ্চ সতর্কবস্থায় আছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলজুড়ে সম্প্রতি ইরান ও এর প্রক্সি বাহিনীর সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর আজ আমি ওই অঞ্চলে প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করার বাড়তি কিছু পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছি।”
অস্টিন বলেন, তিনি বাড়তি কিছু সেনা নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মোতায়েন হওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখছেন। তবে এ সংখ্যা কত তা বলেননি তিনি। পেন্টাগন এরই মধ্যে প্রয়োজনে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য প্রায় ২ হাজার সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে।
বাইডেন প্রশাসন ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমার কথা বলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়ার দুইবছর পর এখন আবার সেখানে এই ব্যবস্থা মোতায়েন করতে চলেছে।
প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বলেই বিবেচনা করা হয়। এই ব্যবস্থা সাধারনত সরবরাহ করা হয় খুব কমই। বিশ্বজুড়ে মিত্রদেশগুলো এই ব্যবস্থার জন্য রীতিমত সংগ্রাম করছে। আর থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আছে শক্তিশালী রাডার। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ব্যবস্থা মোতায়েন করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিল চীন।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা বেড়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। এর জেরেই সেখানে অস্ত্র ও সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক উদ্দেশ্য ইসরায়েলকেও প্রতিরক্ষায় সহায়তা করা। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটিতে দফায় দফায় সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইসরায়েল সফর করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন জানিয়েছেন।