বর্তমানে ইদলিব অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মেদ আল বশির 'বিপ্লবী সরকারের’ প্রধান হতে যাচ্ছেন।
Published : 10 Dec 2024, 01:58 AM
বাশার আল-আসাদের পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে গঠিত হচ্ছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; যেটির প্রধান হতে যাচ্ছেন মোহাম্মেদ আল-বশির।
৪১ বছর বয়সী মোহাম্মেদ আল-বশির সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনায় গঠিত বিদ্রোহীদের ‘জাতীয় বিপ্লবী সরকারের’ (ন্যাশনাল সালভেশন কাউন্সিল) ইদলিব অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত আল-তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তার মনোনয়ন পাওয়ার খবর দিয়েছে রয়টার্স।
আল-অ্যারাবিয়ান টেলিভিশনের বরাতে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মোহাম্মেদ আল-বশিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, সোমবার এইচটিএস এর প্রকাশিত এক ভিডিওতে আহমেদ আল-বশিরের সঙ্গে এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা (মোহামেদ আল-জাওলানি নামেও পরিচিত) ও সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ আল-জালালিকে বৈঠক করতে দেখা যায়।
রয়টার্স লিখেছে, মোহাম্মেদ আল-বশির এর আগে বিপ্লবী সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শরিয়াহ শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উন্নয়ন ও মানবিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও কাজ করেছেন তিনি।
আল-বশিরের জন্ম ১৯৮৩ সালে; ইদলিবের জাবাল আল-জাউইয়া শহরে। আলেপ্পো ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে লেখাপড়া সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর শরিয়াহ ও আইন আইন নিয়ে লেখাপড়া করেন ইদলিব ইউনিভার্সিটিতে।
এক দশকের কাছাকাছি সময় ধরে বলতে গেলে মিত্র রাশিয়ার শক্তিতেই ক্ষমতায় টিকে ছিলেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তবে সেটি গত একদিন আগের অভাবনীয় পরিবর্তন পর্যন্ত।
বিদ্রোহীদের হাতে রাজধানী দামেস্কের পতন, বাশারের দেশ ছেড়ে পালিয়ে মস্কোতে আশ্রয় নেওয়া- রোববার ভোর থেকে দুপুরের আগেই রীতিমত ভোজবাজির মতো ঘটে গেছে।
১৯৭১ সাল থেকে বাশার আল–আসাদ এবং তার বাবা সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। রোববার ভোরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী সংগঠন এইচটিএস এর নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন গোষ্ঠী দামেস্কে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে ‘সিরিয়া এখন মুক্ত’ বলে ঘোষণা দেয়।
সশস্ত্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেয় আসাদ ও তার পরিবার। রাশিয়া জানিয়েছে, মানবিক কারণে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।