দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো এবং টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ কঠিন হয়ে উঠেছে।
Published : 15 Sep 2024, 09:36 PM
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে গৃহযুদ্ধ কবলিত মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক বন্যায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানায়, ওই সময় পর্যন্ত অন্তত ৮৯ জন নিখোঁজ ছিলেন। তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে বয়ে যাওয়া প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন। উভয় দেশেই নদী উপচে সৃষ্ট বন্যায় অনেকগুলো শহর প্লাবিত হয়।
গত সোমবার থেকে মিয়ানমারে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানী নেপিদো ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে অশান্তি বিরাজ করছে। এখন দরিদ্র দেশটির বিশাল অংশজুড়ে সহিংসতা চলছে।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী নেপিদোর পাশাপাশি মান্দালয়, মাগওয়ে ও বাগো অঞ্চলসহ পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্য, মন, কায়াহ ও কায়িন রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইমেইলের মাধ্যমে ওসিএইচএ রয়টার্সকে জানিয়েছে, "শান পর্বতমালা থেকে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে অসংখ্য নদী ও প্রস্রবণ নেমে এসেছে, এই অঞ্চলটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, আরও প্রাণহানি ও ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো এবং টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটিরা রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানায়, বন্যায় পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা এবং ৬৫ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
মিয়ানমারের পাঁচ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন, কিন্তু রেডক্রসসহ বহু দাতব্য সংস্থা দেশটির অনেক এলাকাতেই বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।