ইউক্রেইন যুদ্ধে জব্দ করা রুশ সম্পদের ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চীনকে মোকাবেলা করার মতো বিষয়গুলোই মূলত আলোচনায় স্থান পাবে।
Published : 24 May 2024, 08:12 PM
ইতালিতে জি৭ (গ্রুপ অব সেভেন) অর্থমন্ত্রীদের দু’দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার। এ সম্মেলনে ইউক্রেইনকে ঋণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং চীনের অন্যায় শিল্প নীতির বিরোধিতা নিয়ে অভিন্ন একটি অবস্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা নেবেন মন্ত্রীরা।
ইউক্রেইন যুদ্ধে কীভাবে জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করা যাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি শক্তিকে মোকাবেলা করা যাবে সে বিষয়গুলোই মূলত আলোচনায় স্থান পাবে।
ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় স্ট্রেসা শহরে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও কানাডার অর্থমন্ত্রীরা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরই দেশটির ৩০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করেছিল পশ্চিমারা। সেই অর্থ কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা চলছে।
এই সম্পদ থেকে ভবিষ্যত আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজে পেতে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইউক্রেইনকে এই অর্থ থেকে ঋণ দেওয়ার পক্ষপাতি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ঋণের অর্থ হতে পারে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার। তবে অর্থের অঙ্ক নিয়ে এখনও কোনও মতৈক্য হয়নি।
জি-৭ এর আলোচনায় জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তা এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কিছু করতে গেলে কন্টকাকীর্ণ কিছু আইনি এবং প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে সমাধানে পৌঁছতে হবে।
অর্থমন্ত্রীরা শনিবার ইউক্রেইনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ঋণ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। জি৭ অর্থমন্ত্রীরা ইতালির বৈঠকে এ বিষয়ে কোনও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌছতে পারবে বলে তিনি করেন না।
সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতির আশায় কর্মকর্তাদের আলোচনা চলবে জি৭ এর রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলনেও। যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে দক্ষিণ ইতালির পুগলিয়ায় ১৩ থেকে ১৫ জুনে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি শক্তি মোকাবেলা করা সম্মেলনে আলোচনার আরেকটি মূল বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহেই চীনের বেশকিছু আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য তাদের অন্যান্য অংশীদারকে চীনের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি চান জি৭-এ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশীদার দেশ জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, ইতালি, ফ্রান্সও ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়াক।
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো প্রয়োজন। কারণ,তারা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদার। কিন্তু জি৭ এরও শিল্পক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা দরকার।