হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর জম্মু-কাশ্মিরে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
Published : 09 Oct 2024, 02:16 PM
ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনে সব বুথফেরত জরিপ ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে ভোটের ফল।
হরিয়ানায় টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়লাভ করে হ্যাট্রিক করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মিরে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভার আসন ৯০টি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সেখানে এনসি-কংগ্রেস জোট ৪৯টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই রাজ্যে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৪৬ আসন।
ওদিকে, হরিয়ানার ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬টি আসন। সেই সংখ্যা স্পর্শ করে ফেলেছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়ছে ৩৭ আ।সন। ভোটগণনার শুরুর দিকে হরিয়ানাতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে চিত্র পাল্টে যায়।
অন্যদিকে ,দিল্লি ও পাঞ্জাবে জয়লাভ করলেও হরিয়ানা রাজ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি কোনো আসনই পায়নি। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছে দলটি। এখানকার ডোডা আসনে জয়লাভ করেছে তারা।
হরিয়ানায় ঐতিহাসিক জয়ের জন্য দলীয় কর্মী ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “বিজেপি যেখানেই সরকার গঠন করে সেখানেই জনগণ তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য বেছে নেয়।”
মোদী আরও বলেন, “কংগ্রেস তার অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালের পর শেষ কবে তারা কোনও রাজ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। কোনও কোনও রাজ্যে তারা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে।”
কাশ্মীরের ৪৭টি আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স জয়লাভ করেছে ৪৪টি আসনে। এখানে শুধু কাশ্মীর উপত্যকাই নয় পীর পাঞ্জাল ও চেনাব উপত্যকাতেও ভালো ফলাফল করেছে দলটি।
তবে জম্মু ও কাশ্মীরের ৯০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন জিতেছে দলটি। জম্মু ও কাশ্মীরে কিং মেকার হিসেবে মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে বিবেচনা করা হলেও, সেখানে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে এই দলটি।
জম্মু ও কাশ্মীরের ছোট দল এবং নির্দল দলগুলি, যাদের মধ্যে অনেকগুলি বিজেপি সমর্থিত, ৯টি আসন জিতেছে। কংগ্রেস এখনও হরিয়ানায় তাদের বিপর্যয় মেনে নিতে না পারলেও উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতারা।
কৃষি আইন নিয়ে ক্ষুব্ধ জাঠ ও কৃষক সম্প্রদায়, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এবং অগ্নিবীর প্রকল্পে মহিলা কুস্তিগীরদের প্রতি আচরণ হরিয়ানায় কংগ্রেসের ভোট বাড়াবে বলে আশা করা হয়েছিল।