বাজেট নীতি ও জার্মানির অর্থনীতির গতিমুখ নিয়ে শলজের তিন দলীয় জোট সরকারের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিবাদ চলছি, এর ফলেই তার সরকারের পতন ঘটেছে।
Published : 07 Nov 2024, 04:14 PM
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ তার মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার পর বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতন ঘটেছে। এর ফলে আগাম নির্বাচনের পথ খুলে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটিতে এ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সূচনা হয়।
ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (পিডিপি) পার্টির খ্রিস্তিয়ান লিনডনকে পদচ্যুত করার পর শলজ তার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস এর সঙ্গে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল গ্রিন্সদের নিয়ে একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় আইন পাস করার জন্য তাকে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হবে।
শলজ আগামী ১৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে আস্থা ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন আর তা মার্চের শেষ নাগাদ আগাম নির্বাচনের সূচনা ঘটাতে পারে, জানিয়েছে রয়টার্স।
শলজ জানিয়েছেন, তিনি বাজেট পাস ও সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিরোধী রক্ষণশীলদল নেতা ফ্রিদিরিখ ম্যাথসের সমর্থন চাইবেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথসের এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা রয়েছে। জরিপগুলোতে রক্ষণশীল দল সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
বাজেট নীতি ও জার্মানির অর্থনীতির গতিমুখ নিয়ে শলজের তিন দলীয় জোট সরকারের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিবাদ চলছি, এর ফলেই তার সরকারের পতন ঘটেছে।
গত কিছু দিনের জরিপে দেখা যাচ্ছিল, শলজ সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখি আর কট্টর ডানপন্থি আর কট্টর বামপন্থিদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শলজ জানিয়েছেন, বাজেট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে লিনডনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী মনোভাবের জন্য তাকে পদচ্যুত করেছেন তিনি। এই মন্ত্রী দেশের চেয়েও দলকে প্রাধান্য দেন এবং মিথ্যা অজুহাতে আইন আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের শলজ বলেন, “আমাদের এমন একটি সরকার দরকার যারা কাজ করতে পারবে, আমাদের দেশের জন্য যারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”
ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার একদিন পর জার্মানিতে সরকার পতনের এ ঘটনা ঘটল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন পণ্যের ওপর সম্ভাব্য নতুন শুল্ক আরোপ থেকে শুরু করে ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং নেটো সামরিক জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইউরোপের দেশগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এসব ইস্যু নিয়ে ইউরোপ ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।