মঙ্গলবারই সম্মেলনের পর্দা নামার কথা থাকলেও জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে আলোচনা এখনও চলছে।
Published : 12 Dec 2023, 11:47 PM
দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে মতবিরোধের কারণে চুক্তি হওয়ার বিষয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সম্মেলনের আলোচনা গড়িয়েছে বাড়তি সময়ে।
মঙ্গলবারই সম্মেলনের পর্দা নামার কথা থাকলেও জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে আলোচনা এখনও চলছে। কপ২৮ প্রেসিডেন্ট প্রতিটি দেশ এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে একের পর এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পর্কিত খসড়া চুক্তিকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি দেশ। এর আগের একটি খসড়া প্রস্তাবনায় লেখা হয়েছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সোমবারের সর্বশেষ খসড়ায় সে কথা রাখা হয় নি।
সম্মেলনে কোনও চুক্তি হতে হলে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে এর সঙ্গে একমত হতে হয়ে। আলোচনায় বাড়তি সময় নিয়ে এখন সে চেষ্টাই চলছে।
জার্মানির জলবায়ু বিষয়ক দূত জেনিফার মর্গান বলেছেন, “আলোচনা একটি গুরুতর, গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। আপোসরফার জন্য প্রচুর শাটল-কূটনীতি চলছে।”
সোমবার যে খসড়া চু্ক্তিটি প্রকাশ করা হয়েছিল সেটি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বলতে গেলে সারারাতই আলোচনা চলেছে।
এখন নতুন আরেকটি খসড়া চুক্তি পরে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আলোচকরা এখনও নতুন চুক্তির অপেক্ষায় আছেন। অথচ এই সময়ের মধ্যে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণার কথা ছিল।
জলবায়ু সংকটের জন্য মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি দায়ী। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষ করতে এর আগেই দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ প্রধান।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়তে থাকলেও এখনও বিশ্বের জ্বালানির প্রায় ৮০ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।
কয়েকটি আফ্রিকান দেশ বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানি সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তির ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলো যারা দীর্ঘদিন ধরে এই জ্বালানি উৎপাদন এবং ব্যবহার করে আসছে তাদেরকেই প্রথমে এটি বাদ দিতে হবে।
আর বরাবরের মতোই এবারও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের বিরোধিতা করছে জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন দেশ কখনও একমত হতে পারেনি।
কপ ২৮-এর আলোচনায় যে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হচ্ছে- তেল, কয়লা এবং গ্যাস পোড়ানো থেকে যে গ্রিনহাউস গ্যাস হয় সে বিষয়ে কী করা উচিৎ।