কট্টর ডানপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন ল্য পেনকে পরাজিত করে আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
Published : 25 Apr 2022, 04:18 PM
দ্বিতীয় মেয়াদের আরও ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই তিনি বিভক্ত ফ্রান্সকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর এই জয়ে ২০ বছরের মধ্যে তিনিই হচ্ছেন ফ্রান্সের ক্ষমতায় থেকে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট।
রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে এক বিশাল স্ক্রিনে ভোটের ফল ভেসে উঠতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ম্যাক্রোঁর সমর্থকরা।
এ সময় সমর্থকদের উদ্দেশে ম্যাক্রোঁ বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন তিনি সবার প্রেসিডেন্ট।
কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী ল্য পেনকে হারিয়ে ম্যাক্রোঁর জয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় নেতারা। ল্য পেন জয়ী হলে ইইউ-বিরোধী নীতি নিতে পারেন বলে তাদের শঙ্কা ছিল।
ম্যাক্রোঁও তার বিজয়ী ভাষণে স্বীকার করেছেন, অনেকেই তাকে ভোট দিয়েছেন কেবল ল্য পেনকে দূরে রাখার জন্য।
ম্যাক্রোঁকে প্রথমেই অভিনন্দন জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও অভিনন্দন জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেইনসহ অন্যান্য ইস্যুতে আরও নিবিড় সহযোগিতার অপেক্ষায় থাকার কামনা করে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ওদিকে, পরাজিত প্রার্থী ল্য পেন তার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তার নামে স্লোগান দেওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণও দিয়েছেন তিনি।
ল্য পেন বলেন, নির্বাচনে যেটুকু ভোট পেয়েছেন সেটি এখনও তার দলের জন্য এক বিজয়। ব্যালট বক্সে যে রায় এসেছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গত ১০ এপ্রিলে। সেই ভোটে এগিয়ে ছিলেন মাক্রোঁ৷ তার পরের অবস্থানেই ছিলেন মারিন ল্য পেন। তবে ব্যবধান কম থাকায় অনিশ্চয়তা ছিল।
২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বের ভোটে মুখোমুখি হন এই দুই প্রার্থী। ম্যাক্রোঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ল্য পেন এবার নিয়ে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়লেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ম্যাক্রোঁর কাছে হেরে গিয়েছিলেন।