ইউক্রেইনে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে নিজেদের হতাহতের হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 26 Mar 2022, 12:42 PM
এতে ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তাদের মোট এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের উপপ্রধান কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কোয় বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশেষ এই সামরিক অভিযানে আমরাও আমাদের অনেক সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫১ সেনার মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫।”
বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে নিখোঁজ বা ইউক্রেইনের হাতে ধরা পড়া সেনার সংখ্যা জানাননি রাশিয়ার এ কর্মকর্তা।
রুদস্কোর ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের গত এক মাসের অভিযানে ইউক্রেইনের প্রায় ৩০ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে।
এদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার সেনা নিহত ও বাকিরা আহত হয়েছে বলে অনুমান রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর।
যুদ্ধাস্ত্রের দিক থেকেও ইউক্রেইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; প্রায় এক হাজার ৬০০ ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি রুদস্কোয়ের।
রুশ বাহিনী কিইভের বিমান ও বিমান-বিধ্বংসী বাহিনীর বেশিরভাগই ধ্বংস করে দিয়েছে, নৌবাহিনীকে কার্যত ‘নেই করে দেওয়া’ হয়েছে, বলেছেন রাশিয়ার এ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা।
আরআইএ লিখেছে, ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব দিয়েছে তার সঙ্গে ইউক্রেইন সরকারের দেওয়া তথ্যের বিরাট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
কিইভের ভাষ্য অনুযায়ী, এক মাসের যুদ্ধে রাশিয়া প্রায় ১৬ হাজার সৈন্য হারিয়েছে, তাদের কয়েকশ ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও কামান ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেইন অবশ্য তাদের নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারটা প্রায় চেপে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সর্বশেষ মার্চের মাঝামাঝি তাদের এক হাজার ৩০০র মতো সেনার নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
মিনস্ক চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে কিইভের কথিত ব্যর্থতায় সাত বছরের অচলাবস্থা এবং তার ধারাবাহিকতায় দনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতাকে রাশিয়ার স্বীকৃতির পর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে মস্কো ইউক্রেইনে সেনা পাঠায়।
রাশিয়া চাইছে, ইউক্রেইন যেন কখনো যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোতে যুক্ত না হয় এবং নিজেদের ‘নিরপেক্ষ দেশ’ ঘোষণা করে।
আর কিইভ বলছে, রাশিয়া বিনা প্ররোচনায় তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা গায়ের জোরে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা করছিল, এমন অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করছে জেলেনস্কির সরকার।