চীনের উহানের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের ৩ গবেষক ও কয়েক বছর আগে একটি বাদুড়ের গুহায় প্রবেশ করা ৬ খনি শ্রমিকের মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি।
Published : 04 Jun 2021, 11:03 AM
কোভিড-১৯ উহানের ল্যাব থেকেই প্রথম ছড়িয়েছিল কিনা, ওই ৯ জনের অসুস্থতার ধরন ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সে রহস্যের সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিতে পারে, বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে তার এ মন্তব্য এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“২০১৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে খবর বের হওয়া ৩ জনের (ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক) মেডিকেল রেকর্ড দেখতে চাই আমি। তারা কি সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, আর যদি তাই হয়, তাহলে কীভাবে অসুস্থ হন?,” ফাউচি এমনটাই বলেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চীনের উহানেই ডিসেম্বরে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল। তার মাসখানেক আগে শহরটিতে অবস্থিত ভাইরোলজি ল্যাবের তিন গবেষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে সম্প্রতি যে খবর চাউর হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন তা খতিয়ে দেখছে।
ফাউচি কেবল এ ৩ জনের মেডিকেল রেকর্ড চাননি, তিনি ২০১২ সালে চীনের একটি বাদুড়ের গুহায় প্রবেশ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়া ৬ খনি শ্রমিকের অসুস্থতা সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছেন। ওই ৬ শ্রমিকের ৩ জন পরে মারা যান।
খনি শ্রমিকরা যে গুহাটিতে প্রবেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিজ্ঞানীরাও বাদুড়ের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহে প্রায়ই সেখানে যেতেন।
উহানের ল্যাব থেকেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে- এ সংক্রান্ত দাবিকে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ অ্যাখ্যা দিয়ে চীনা বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন।
তাদের ভাষ্য, উহানে আঘাত হানার আগে ভাইরাসটি সম্ভবত বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলও প্রদক্ষিণ করেছে। আমদানিকৃত হিমায়িত খাদ্যের চালান কিংবা বন্যপ্রাণী কেনা-বেচা সংক্রান্ত ব্যবসার মাধ্যমে এটি চীনে প্রবেশ করে থাকতে পারে বলেও অনুমান তাদের।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাউচি এখনও বিশ্বাস করেন ল্যাব থেকে নয়, প্রাণী থেকেই মানবদেহে ভাইরাসটি এসেছে।
ওই ৩ গবেষকের যদি কোভিড-১৯ হয়েও থাকে, তা ল্যাবের বাইরের মানুষদের মাধ্যমেই গেছে- এমন সম্ভাবনা বেশি বলেও ইঙ্গিত তার।