কোভ্যাক্সের টিকা ক্রয় ও বিতরণে যুক্ত থাকা জাতিসংঘের সংস্থাটি মে মাসের শেষ নাগাদ সাড়ে ৬ কোটি ডোজ হাতে পাবে বলে মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে নতুন সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদন বাড়ার কারণে টিকার ছাড় নিয়ে যেসব প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছিল তা কেটে গেছে।
“এই মুহূর্তে ইউনিসেফ আশা করছে, ভারতের বাইরের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কোভিড-১৯ টিকার প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডোজ মে মাসের শেষ নাগাদ জুড়ে ৮০টি দেশে সরবরাহ করার জন্য পাওয়া যাবে।”
এছাড়াও মে মাসে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া থেকে ৫ কোটি ডোজ পাওয়ারও আশা করছে সংস্থাটি, যেখানে এমাসে বলতে গেছে কিছুই পায়নি।
করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে থাকা ভারত নিজস্ব চাহিদা মেটাতে মার্চ মাসে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকার রপ্তানি স্থগিত রাখে।
এর ফলে কোভ্যাক্সের আওতায় যে ১৮০টি দেশ টিকা পাওয়ার কথা, তাদের ক্ষেত্রে ভারতের এ সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে কোনো টিকার চালান বিদেশে পাঠানো হয়নি।
টিকার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভির নেতৃত্বে কোভ্যাক্স নামের এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কাজ করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া এ পর্যন্ত ৭৬টি দেশে মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৭ লাখ ডোজ পেয়েছে কোভ্যাক্স।