Published : 29 Jan 2021, 04:35 PM
সেইসঙ্গে চীনা সশস্ত্র বাহিনী কোনওরকম উস্কানি এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও দেশটি সতর্ক করেছে।
তাইওয়ানের কাছে চীনের সাম্প্রতিক সামরিক উপস্থিতি এবং চীনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দেশগুলোর পাশে থাকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির মধ্যে এমন হুঁশিয়ারি দিল বেইজিং।
বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু তাইওয়ানের বেশ কিছু মানুষ দ্বীপটির স্বাধীনতা চাচ্ছেন। আমরা তাইওয়ানের এই স্বাধীনতাকামীদের সতর্ক করে দিয়ে বলছি, আগুন নিয়ে যারা খেলবে, তারা নিজেরাই পুড়বে। তাইওয়ানের স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ।”
তাইওয়ানের কাছ দিয়ে বেইজিং-এর সামরিক কর্মকাণ্ডের সমর্থনে কিয়ান বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীতে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখভাল এবং চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার সুরক্ষায় এ পদক্ষেপ প্রয়োজনীয়তা আছে।”
সম্প্রতি চীনের যুদ্ধবিমান দুইদিন তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ তাইপের। প্রথমদিন চীনের পরমাণু অস্ত্রবাহী ৮ টি বোমারু বিমান, চারটি জঙ্গিবিমান এবং অ্যান্টিসাবমেরিন বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা জোনে ঢুকে পড়েছিল বলে জানায় তাইপের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
এর পরদিন চীনের ১৫টি বিমান মহড়া দেয়। এ মহড়ায় ছিল ১২টি জঙ্গিবিমান, দুটি অ্যান্টিসাবমেরিন বিমান ও একটি নজরদারি বিমান।
চীনের এই মহড়ার পরই ‘সমুদ্রে অবাধ বিচরণ’ নিশ্চিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরীসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করে। চীন পরদিনই এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়।
এরপর গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি চীনের চাপ মোকাবেলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীনের বিশ্বাস, তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপটির স্বাধীনতা ঘোষণার পথে এগুচ্ছে। যদিও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বরাবরই তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে দাবি করে আসছেন।
কিন্তু চীন সবসমই শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর রয়েছে।