Published : 06 May 2025, 12:07 AM
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১০ মাসের মধ্যে এপ্রিলে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় দেখল দেশ। এ মাসে রপ্তানি আয় ৩০১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে এর আগে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় ছিল গত সেপ্টেম্বরে। সে মাসে আসে ৩৫২ কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, গত মার্চ মাসে রপ্তানি আয় হয় ৪২৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে আয় কমেছে প্রায় ১২৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পূরক শুল্কারোপ ঘোষণার মাসেই সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এল।
যদিও এপ্রিলে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি এসেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিলে ২৯৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়।
ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে পোশাক খাত দেখেছে ‘সামান্য’ প্রবৃদ্ধি। এ খাতে গত মাসে রপ্তানি আয় হয় ২৩৯ কোটি ডলার; মার্চে যা ছিল ২৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যে নতুন সম্পূরক শুল্কহার ঘোষণা করেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হয়।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কারোপের ঘোষণায় দেশের রপ্তানি ধাক্কার আশঙ্কা ছিল।
তবে ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবেই রপ্তানি কমেছে কিনা, তা ইপিবির দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা। ঈদের লম্বা ছুটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন তারা।