Published : 25 Jan 2021, 04:02 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মদিবস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই চীনের এই শক্তি প্রদর্শন শুরু হয়েছে।
বিবিসি জানায়, রোববার চীনের ১৫টি বিমান মহড়া দিয়েছে। এ মহড়ায় ছিল ১২টি জঙ্গিবিমান, দুটি অ্যান্টিসাবমেরিন বিমান ও একটি নজরদারি বিমান।
এর আগে শনিবার একই ধরনের মহড়ায় চীনের পরমাণু অস্ত্রবাহী ৮ টি বোমারু বিমান, চারটি জঙ্গিবিমান এবং অ্যান্টিসাবমেরিন বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা জোনে ঢুকে পড়েছিল বলে জানিয়েছে তাইপের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
দুইদিনই তাইওয়ানের বিমানবাহিনী চীনা বিমানগুলোকে সতর্ক করেছে এবং বিমানগুলো পর্যবেক্ষণে রাখতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন রেখেছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই মনে করে চীন। তবে তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে দাবি করে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, তাইওয়ানকে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কতটা সমর্থন করেন, তা যাচাই করতেই চীন এমন মহড়া দিচ্ছে।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাইওয়ানের সুরক্ষায় সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান–নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের মধ্যকার জলসীমার ওপর দিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে চীন।
তাইওয়ান বলছে, এগুলো সাধারণত এক থেকে তিনটি নজরদারি বিমান বা অ্যান্টিসাবমেরিন যুদ্ধবিমান দিয়ে পরিচালিত হয়। অথচ গত দু’দিনে অঞ্চলটিতে অনেক বেশি বিমানের মহড়া চলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অভিষেকের পরই বিমানের এই মহড়া হল। মানবাধিকার, বাণিজ্য, হংকং এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের ওপর বাইডেন প্রশাসন চাপ বজায় রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।