দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যুক্তরাজ্যে ৭৭ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
Published : 24 Jan 2021, 07:15 PM
কমিউনিটি সংক্রমণ নয় বরং ভ্রমণকারীদের যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো থেকে ধরনটি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি’র এন্ড্রু মার শো তে তিনি বলেন, সংক্রমিতদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কন্টাক্ট ট্রেসিংও বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রীরা সোমবারই জরুরি বৈঠকে বসে বিদেশ থেকে আগতদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের ধরনটিতে টিকার কার্যকারিতা নস্যাৎ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের বৃদ্ধনিবাসগুলোর তিন-চতুর্থাংশেই ৮০ বছরের বেশি সয়সী ৭৫ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটো টিকাই দুই ডোজ করে দিতে হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেবল টিকার একটা ডোজই দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের ধরনগুলো প্রথমদিকে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলেই শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যসহ আরও অন্তত ২০ টি দেশে পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের ধরনটি।
যুক্তরাজ্যে যতজনের দেহে এই ধরন শনাক্ত হয়েছে তারা সবাই ভ্রমণের কারণেই সংক্রমিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী হ্যানকক।
সেকারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লোক চলাচলের ক্ষেত্রে সীমান্ত কড়াকড়ির পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ভ্রমণ করিডোর বন্ধ রেখেছে এবং দেশটিতে ঢুকতে হলে প্রায় সব ভ্রমণকারীর জন্য করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখানোরও নিয় চালু করেছে।
সীমান্তে যুক্তরাজ্যর আরও কড়াকড়ির পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও খোলা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। “করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়াতে দিয়ে আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারি না”, বলেছেন তিনি।