ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা তেহরানের সঙ্গে মস্কোর সহযোগিতায় রাজনৈতিক বা বাস্তবিক কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।
Published : 22 Sep 2020, 07:07 PM
রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে।
ইরানের ওপর সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের যে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল তার সমর্থনে সোমবার দেশটি তেহরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তাদের পারমাণবিক এবং অস্ত্র প্রকল্পেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোসহ রাশিয়া এবং চীনও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসা যারাই করবে তাদেরকে শাস্তি দিতে একটি নির্বাহী আদেশ সই এবং একতরফাভাবে ইরানের ওপর জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বসংস্থাটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন।
ইরানের ওপর জাতিসংঘ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে আসতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্র এই সতর্কবার্তা দিচ্ছে যে, তারা ইরানে অস্ত্র বিক্রি করলে কিংবা কিনলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে।
২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে ইরান যে পরমাণু চুক্তি করেছিল তার আওতায় ইরানের ওপর জারি থাকা জাতিসংঘ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর।
যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরান পরমাণু চুক্তি’ থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে এলেও তারা ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাসহ সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে বাধ্য করছে।
জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো তা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ইরান যাতে নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড থেকে লাভবান না হতে পারে তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এ অধিকার আছে বলে মনে করে না ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সই করা অন্যান্য দেশগুলো এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য।