ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত ‘জাদুঘর’ হায়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরের পর শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে প্রথমবার সাধারণ মুসল্লিদের জন্য সেটি খুলে দেওয়া হচ্ছে।
Published : 24 Jul 2020, 02:10 PM
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ারলিকায়া বলেন, ‘‘মুসলমানরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, সবাই চায় সেটি খুলে দেওয়া হোক।”
প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরাতন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হায়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালে জাদুঘর ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এ মাসের শুরুতে তুরস্কের শীর্ষ প্রশাসনিক আদালত হায়া সোফিয়ার জাদুঘরের মর্যাদা নাকচ করে।
তারপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান এ স্থাপনাকে মসজিদ হিসাবে মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।
বাইজেন্টাইন সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে ষষ্ঠ শতকে হায়া সোফিয়া নির্মিত হয়। এরপর থেকে প্রায় এক হাজার বছর ধরে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় কেন্দ্র ছিল এটি।
১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলে স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। প্রায় পাঁচশ বছর পর তুরস্কের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল আতার্তুক এটিকে জাদুঘর ঘোষণা করেন।
হায়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে মসজিদে রূপান্তর করা নিয়ে বিশ্বনেতারা তুরস্কের সমালোচনায় মেতেছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসও এ ঘটনায় ‘ব্যথিত’ হওয়ার কথা জানান।
গভর্নর বলেন, ‘‘আপনাদের মাস্ক পরে এবং জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। সেইসঙ্গে ধৈর্য ধরতে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।”
নামাজ শুরুর আগে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন বলেও জানান তিনি।
হায়া সোফিয়ায় একবারে এক হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।
হায়া সোফিয়ার ভেতরে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া মূল ভবনের বাইরে ‘বাগানের মত’ করা হয়েছে। যেটি রাতভর খোলা থাকবে।