যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ-ক্ষমতা কমাতে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
Published : 09 Jan 2020, 06:16 PM
বৃহস্পতিবারই এ ভোট হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে হবে-এমন একটি পদক্ষেপ নিতেই এদিন ভোট দেবে প্রতিনিধি পরিষদ।
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ট্রাম্প এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের সুরে কথা বললেও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানির ওপর হামলা এবং এর পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দেখিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয়।সেকারণেই তারা এখন ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় প্রভাবশালী ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হয়েছিলেন। এর বদলা নিতে ইরান ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার পর বুধবারই ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা কমাতে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ওই ভোটের ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বুধবার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ না করে বরং তাদের ওপর আরো বাড়তি শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিবৃতিতে বলেছেন,“ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করে আমাদের সেনা সদস্য,কূটনীতিক এবং অন্যান্যদেরকে বিপদে ফেলেছেন এবং ইরানের সঙ্গে মারাত্মক উত্তেজনার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছেন।”
পেলোসি আরো বলেন, প্রেসিডেন্টের কৌশল নিয়ে কংগ্রেসের কিছু সদস্য উদ্বিগ্ন। আর ‘ওয়ার পাওয়ারস অ্যাক্ট’ এর আওতায় প্রশাসন হামলার ব্যাপারে কংগ্রেসকে ঠিকমত কিছু অবহিতও করেনি।
ফলে ওয়ার পাওয়ারস প্রস্তাবনা নিয়ে ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়ে পেলোসি বলেন, “পরবর্তী আর কোনো সহিংসতা এড়াতে অবিলম্বে একটি কার্যকর এবং উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল নিয়ে এগুনোর জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।”
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদ যে প্রস্তাবনার ওপর ভোট দেবে সেটি সিনেটে ওঠা একটি প্রস্তাবনার মতোই।এতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস থেকে পরবর্তীতে কোনো অনুমোদন না পেলে প্রেসিডেন্টকে ৩০ দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া বন্ধ করতে হবে।
তবে এ পদক্ষেপটি রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে পাস হওয়া দুরূহ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রিপাবলিকনরা বেশিরভাগই সোলেমানিকে হত্যার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।