মাউন্ট আগুং আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। বড় ধরনের উদগীরণের আশঙ্কায় আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ মানুষকে সরে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Published : 27 Nov 2017, 09:26 PM
বিবিসি জানায়, এরই মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়ছে। মাউন্ট আগুংয়ের আশেপাশে ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ এলাকার পরিসর আরও বাড়ানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল বোর্ড ফর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় (জিএমটি ২২:০০ রোববার) চার মাত্রার সতর্কতা জারি করে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে মাউন্ট আগুং আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
গত সপ্তাহ থেকে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ দিয়ে গ্যাস বেরোনো শুরু হয়। তারপর প্রচণ্ড বেগে ঘন ধোঁয়া ও ছাই বেরিয়ে আসতে শুরু করায় রোববারই সেখানে বিমান চলাচলে ‘রেড এলার্ট’ জারি করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ছাইয়ের মেঘ ১৯ হাজার ৬৫৪ ফুটের বেশি উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে।
সোমবার বালি দ্বীপের বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সেখানে হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়ে গেছেন বলে জানায় বিবিসি।
অগ্নুৎপাত এবং ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা গেদে সুয়ানটিকা বলেন, “মাউন্ট আগুং থেকে যে কোনও সময় লাভা বেরিয়ে আসবে, যদিও এখনও জ্বালামুখ দিয়ে ছাই বেরিয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে এবং সম্ভাব্য প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রবল বেগে লাভা বেরিয়ে আসার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
সার্ফিং, সৈকত ও প্রাচীন মন্দিরের কারণে পর্যটকদের কাছে বালি দ্বীপ দারুণ জনপ্রিয়। প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করে। স্থানীয় জনগণের জীবিকাও পর্যটক নির্ভর।
১৯৬৩ সালে সর্বশেষ মাউন্ট আগুং থেকে লাভার উদগীরণ হয়েছিল। সেবার এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম লাভার নিচে চাপা পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অব ফায়ার’ এ অবস্থিত হওয়ার কারণে টেক্টোনিক প্লেটগুলোর ধাক্কায় ঘনঘন ভূকম্পন ও অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা থাকে। সেখানে রয়েছে ১৩০টির’ও বেশি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ।