সিরিয়ায় প্রায় ৫ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো।
Published : 12 Feb 2016, 10:00 AM
বিবিসি বলছে, জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আগামী এক সপ্তার মধ্যে এই চুক্তি হবে বলে সমঝোতায় পৌঁছে বৃহৎ শক্তির দেশগুলো।
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, সিরিয়ায় অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যাপারেও একমত হয়েছেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেরির পাশে ছিল রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত।
তবে এই যুদ্ধবিরতি সন্ত্রাসী-জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত নুসরা ফ্রন্টের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন কেরি।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করবে সবগুলো পক্ষ একে কতটুকু সম্মান জানায় তার ওপর।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, আশাবাদী হওয়ার কারণ রয়েছে। কেননা আজ আমরা একটি বড় কাজ করেছি।
মস্কো এ প্রস্তাব দিয়ে নিজেদের এবং সিরিয়া সরকারের জন্য বিদ্রোহীদেরকে নির্মূল করার লক্ষ্যে তিনমাস সময় নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলেই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
কেরির বক্তব্যেও তারই আভাস পাওয়া গেছে। এ কারণেই সাংবাদিক সম্মেলনেও কেরি বলেন, সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে উদার বিদ্রোহীদের লক্ষ করে রুশ বিমান হামলা চালাচ্ছে।
বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, এই বিরতি (যুদ্ধ) তখনই কার্যকর হবে যদি রাশিয়া তার হামলা বন্ধ করে।
অবশ্য রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বিমান হামলা চলবে।
সরকারি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ আলেপ্পোর দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে। আলেপ্পো এখনো বিদ্রোহীপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সিরিয়ার আলেপ্পোয় তীব্র লড়াইয়ের মুখে উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সেখানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনাদের অভিযানে সহায়তা করছে রাশিয়ার বিমান বাহিনী।
প্রায় পাঁচ বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ৬৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন এই যুদ্ধে।