ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাসপোর্টের জন্য দেওয়া বৈবাহিক তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করেছেন তার স্ত্রী যশোদাবেন।
Published : 11 Feb 2016, 05:57 PM
বুধবার আহমেদাবাদের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে তিনি আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন) আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে 'দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া'।
যশোদাবেন বিদেশে তার বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করলে তার কাছে বিয়ের প্রমাণ চায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিয়ের সনদ বা আইনি কাগজ জমা দিতে না পারায় গত বছর নভেম্বরে তার পাসপোর্টের আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
অগত্যা মোদী তার পাসপোর্টে বিয়ের কী তথ্য প্রমাণ দিয়েছেন তা জানতে চেয়ে এই আরটিআই আবেদন করেন যশোদাবেন।
যশোদাবেনকে পাসপোর্টের ব্যাপারে সাহায্য করা এক আত্মীয় জানিয়েছেন, আরটিআই আবেদনে যশোদাবেন তার স্বামী মোদীর জন্য ইস্যু করা প্রত্যেকটি পাসপোর্টের কপি চেয়েছেন। চেয়েছেন নবায়ন করা সব পাসপোর্টসহ মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ইস্যু করা পাসপোর্টের কপিও। পাসপোর্টের জন্য জমা দেওয়া মোদীর বিভিন্ন কাগজপত্রের কপিও চেয়েছেন তিনি।
ভাই ও অন্য একজন স্বজনকে নিয়ে যশোদাবেন পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে আবেদন জমা দিয়ে আসেন। ব্যক্তিগত কাজে সেখানে গেছেন বললেও বিস্তারিত কিছু তিনি জানাতে চাননি।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জেড এ খান যশোদাবেনের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তার দরখাস্তের একটি উত্তর ৩০ দিনের মধ্যেই দেওয়া হবে।
মোদীর সঙ্গে যশোদাবেনের যোগাযোগ নেই। মোদী স্ত্রীর ব্যাপারে কখনও মুখ খোলেননি। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে আইনি নিরাপত্তা পান যশোদাবেন।
এর আগে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই যশোদাবেন তার নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আরটিআই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয় হওয়ার কারণে আরটিআই’ আইনের আওতায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয় বলে তাকে জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপারিটেনডেন্ট।