গত তিন-চারদিন ধরে গাজার প্রধান হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। চারপাশে ট্যাংক নিয়ে অবস্থান নিয়েছে তারা।
Published : 14 Nov 2023, 08:58 PM
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার প্রধান আল-শিফা হাসপাতালে রোগীদেরকে সমাহিত করতে খোঁড়া হচ্ছে গণকবর। অন্তত ১০০মানুষকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
গত তিন-চারদিন ধরে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালের চারপাশে ট্যাংক নিয়ে অবস্থান নিয়েছে তারা। এই অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে হাসপাতালের ভেতরে মারা গেছে রোগীরা। শিশুদেরকেও সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।
ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ঘিরে রেখে তীব্র হামলা চালাতে থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
হাসপাতালটির নিচে ভূগর্ভস্থ টানেলে হামাস একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। গাজা শাসনকারী হামাস সেখানে ‘মানবিক সমাধানও প্রতিরোধ’ করছে বলে অভিযোগ তাদের। কিন্তু হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলর মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর গাজার বৃহত্তম এ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে নেয় ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ। এছাড়াও সেখানে ছিল ৬৫০ জন রোগী। সম্প্রতি কয়েকদিনে সেখানে ৪০ জন রোগী মারা গেছে। তিনজন অপরিণত শিশুও মারা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা টেলিফোনে হাসপাতালের ভেতরে ফোন করে জানান, প্রায় ১০০ লাশ পচে যাচ্ছে। সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার কোনও পথ নেই।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা তাদেরকে এখন আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরেই গণকবর দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। আইসিআরসি’র কাছ থেকে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এটি করা খবই বিপজ্জনক। কিন্তু আমাদের আর কোনও বিকল্প নাই। মারা যাওয়াদের দেহ পচতে শুরু করেছে। লোকজন এখন কবর খুঁড়ছে।”
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১,৪০০’র বেশি মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকেই সশস্ত্র এই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।