আফগানিস্তানে পাকিস্তানের জোড়া বিমান হামলায় পাঁচ নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছে বলে তালেবান জানিয়েছে।
Published : 18 Mar 2024, 09:33 PM
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের জোড়া বিমান হামলায় আটজন নিহতের ঘটনার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপর ভারি অস্ত্র হামলা চালিয়েছে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনী। আফগানিস্তানের তালেবান সোমবার একথা জানিয়েছে।
পাকিস্তানে সম্প্রতি জঙ্গি হামলার জন্য কে দায়ী তা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের বাকযুদ্ধ চলার মধ্যে এই হামলা হয়। পাকিস্তান বলেছে, হামলা হয়েছে আফগানিস্তানের মাটি থেকে। তবে আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান কাউকে আফগান ভূখন্ড ব্যবহার করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আপোস করার অনুমতি দেয় না।”
তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত প্রদেশ খোস্ত এবং পাকটিকায় হামলায় ৫ নারী এবং তিন শিশু নিহত হয়েছে। আরেক বিবৃতিতে তালেবানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বিমান হামলার জবাবে সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদেরকে নিশানা করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পররাষ্ট্রবিভাগ এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের একটি সেনা পোস্টে শনিবার ভোরে অজ্ঞাত জঙ্গিদের হামলায় সাত সেনাসদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান আফগানিস্তানে হামলা চালায়।
পাকিস্তানের অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা হামলাটি চালিয়েছে। আফগানিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তান সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েকমাস ধরে এ ধরনের হামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) এ ধরনের অনেক হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর অনেকগুলো হামলা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে চালানো হয়েছে।
কিন্তু আফগানিস্তান সরকার কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে তাদের এলাকা ব্যবহার করতে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নিয়ন্ত্রণের অভাব, অদক্ষতা এবং নিজেদের ভূখন্ডের সমস্যার জন্য পাকিস্তানের আফগানিস্তানকে দোষারোপ করা উচিত না। এ ধরনের ঘটনার পরিণতি খুবই খারাপ হতে পারে। যেটি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।”