রাশিয়ায় হামলায় ইউক্রেইনকে উৎসাহ যোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ মস্কোর

হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে ইউক্রেইনের হামলাকে সমর্থন করে না এবং মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তারা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 11:42 AM
Updated : 31 May 2023, 11:42 AM

মস্কোর একাধিক জেলায় আঘাত হানা ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান না নিয়ে ওয়াশিংটন কিইভকে এ ধরনের হামলায় উৎসাহ যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তনভ।

মঙ্গলবারের ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেইনকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বক্তব্যের পর বুধবার আন্তনভ এ অভিযোগ আনেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে ইউক্রেইনের হামলাকে সমর্থন করে না এবং মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তারা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছে।  

পুতিন বলেছেন, ইউক্রেইন ওই ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কোকে ভয় দেখাতে এবং আরও মারাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার উসকানি দিতে।

“তথ্য জোগাড় করছে এই বাক্যাংশের আড়ালে তারা কী লুকানোর চেষ্টা করছে? এটা ইউক্রেইনের সন্ত্রাসীদের উৎসাহ যোগাচ্ছে,” মেসেজিং চ্যানেল টেলিগ্রামে এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্তনভ।

আগের দিনই তার প্রেসিডেন্ট ১৫ মাসের যুদ্ধকে রাশিয়ার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা ড্রোন হামলাটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

ইউক্রেইনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ধারাবাহিক বোমাবর্ষণের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনছে, মস্কো অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের এক সহযোগী ড্রোন হামলায় কিইভের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই ধরনের ঘটনা ইউক্রেইনের জন্য আনন্দদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন। সামনে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী তার।

রাশিয়া একদিনের মধ্যে কিইভে তিনদফা হামলা চালানোর পর মস্কোতে এই ড্রোন হামলা হয়, যাতে দুইজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।

ইউক্রেইনকে সামরিক ও আর্থিকভাবে সহায়তার মাধ্যমে ‘সম্মিলিত পশ্চিম’ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে বলে রাশিয়া অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশে তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নামে, যা এরই মধ্যে অসংখ্য শহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে, হাজারও মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষকে দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।

মস্কো বলছে, তাদের এই অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউক্রেইনকে ‘নাৎসিমুক্ত করা’ ও সেখানকার রুশভাষী জনগণকে রক্ষা করা।

অন্যদিকে কিইভ আর তার মিত্ররা বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় ইউক্রেইনের জমি দখল করা।