বয়স বিবেচনায় গত সপ্তাহে তাকে জামিন দিয়েছে কর্ণাটকের একটি আদালত।
Published : 28 Jan 2024, 10:56 AM
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে ৫৮ বছর আগে একটি বাছুরসহ দুটি মহিষ চুরির অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গণপতি বিঠল ওয়াগোর নামের ওই ব্যক্তি ১৯৬৫ সালে চুরির অভিযোগে ২০ বছর বয়সে প্রথমে অন্য আরেকজনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আর একই মামলায় ফের যখন গ্রেপ্তার হলেন, তখন তার বয়স ৭৮।
পুলিশ বলছে, তরুণ বয়সে চুরির পর তারা দুজন গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। এরপর কেটে যায় প্রায় ছয় দশক। চুরির সঙ্গে যুক্ত গণপতি বিঠলের সহযোগী কৃষ্ণ চন্দর মারা যান ২০০৬ সালে।
বহু পুরনো সেই মামলায় গণপতিকে এতকাল পর গ্রেপ্তার করা হলেও বয়স বিবেচনায় গত সপ্তাহে তাকে জামিন দিয়েছে কর্ণাটকের একটি আদালত।
মহিষ চুরির মামলাটি শুরুর দিকে একটা সময় পর থেমে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে একদল পুলিশ তদন্তের অভাবে থেমে থাকা পুরনো মামলার ফাইলগুলো ঘেঁটে দেখেন। তারা শেষবারের মত মামলাগুলোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেন। এরপর অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে মহিষ চুরির মামলাটিতেও ফের তদন্ত শুরু হয়।
চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল কর্ণাটকের বিদার জেলায়। কিন্তু গণপতি দুবারই ধরা পড়েন প্রতিবেশী মহারাষ্ট্র রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম থেকে।
পুলিশ জানায়, গণপতি ও কৃষ্ণ চন্দর ১৯৬৫ সালে ওই চুরির কথা স্বীকার করেছিলেন। সেসময় স্থানীয় একটি আদালতে তাদের হাজির করা হলে বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। কিন্তু এরপরই তারা উধাও হয়ে যান। আদালতের সমন ও পরোয়ানাতেও সাড়া দেননি।
বিদার জেলার পুলিশ প্রধান চেন্নাবাসাভান্না ল্যাঙ্গোটি বলেন, “গত মাসে মামলাটি পুনরায় চালু হয়। সহকর্মীরা উমরগা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেন। গণপতিকে এই গ্রাম থেকেই ১৯৬৫ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ফের তাকে গ্রেপ্তার অভিযানের একপর্যায়ে এক বয়স্ক নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়। ওই নারী তখন জানান, গণপতি বেঁচে আছেন।”
গণপতিকে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার থাকালাগাঁও গ্রামে পাওয়া যেতে পারে, এমন কথা জানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সূত্র ধরে পুলিশের দল ওই গ্রামে ঢুকে জানতে পারেন, ওই নামে একজন স্থানীয় মন্দিরেই থাকেন। এরপর সেই ব্যক্তি পুলিশের কাছে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বলেন, ভয়ের কারণে তিনি আর আদালতে যাননি। তাকে কর্ণাটকে ফিরিয়ে এনে ফের আদালতে হাজির করে পুলিশ।সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)