সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড প্রথমে জানায়, রাজধানী কলম্বোর দক্ষিণে একটি সাবস্টেশনে জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে।
Published : 10 Feb 2025, 05:11 PM
শ্রীলঙ্কা রোববার প্রায় সারাদিন বিদ্যুৎবিহীন হয়েছিল। এতে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দ্বীপ দেশটির ইতিহাসের অন্যতম বিপর্যয়কর এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি বানরকে দায়ী করেছে।
ব্রিটিশ অনলাইন সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিক থেকে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়ে চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে, পরে দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ বোর্ড সরবরাহ একটু একটু করে সচল করতে সক্ষম হয়। তারা হাসপাতাল ও পানি শোধনাগারগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে।
সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড প্রথমে জানায়, রাজধানী কলম্বোর দক্ষিণে একটি সাবস্টেশনে জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। তবে তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
পরে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কুমার জয়কোডি জানান, একদল বানর নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটির সময় পানাদুরা পাওয়ার স্টেশনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের মধ্যে একটি ট্রান্সমিশন লাইনের ওপর গিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, “আমাদের গ্রিড ট্রান্সফর্মারে একটি বানর এসে পড়ায় সিস্টেমে একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।”
তবে ওই পাওয়ার স্টেশনের এক নিরাপত্তা রক্ষী দাবি করেছেন, তিনি বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনেছেন আর তারপর একটি অগ্নিগোলক দেখেছেন। একটি বানর এ ধরনের একটি সংকট তৈরি করেছেন বলে মনে করেন না তিনি।
ডেইরি মিরর পত্রিকাকে তিনি বলেন, “বানররা পাওয়ার স্টেশনে প্রায়ই লাফিয়ে পড়ে। তাই এটি কোনো বানরের কারণে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।”
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ায় ক্ষমা চেয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী জয়কোডি।
এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে নরোচ্ছোলাই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘটা একটি ব্রেকডাউনের জন্য আগামী কয়েকদিন ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
শ্রীলঙ্কা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মূলত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে। বাকি সরবরাহ আসে কয়লা ও তেল নির্ভর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে।