আরব আমিরাত ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাজার যুদ্ধপরবর্তী অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক ও পশ্চিমা কর্মকর্তা।
Published : 07 Jan 2025, 11:10 PM
গাজায় যুদ্ধোত্তর সরকার গঠন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
যুদ্ধপরবর্তী অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা জানিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধের পর ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করে নিলে ইউএই এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো সেখানকার পুনর্গঠন, নিরাপত্তা এবং শাসন পরিচালনা সাময়িকভাবে দেখভাল করতে পারে কিনা, বিশেষ করে ফিলিস্তিন প্রশাসন দায়িত্বভার নিতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও আছে দেশটির। সেকারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা।
তবে তারা জানান, আমিরাতের আলোচনা থেকে যেসব পরিকল্পনা বেরিয়ে এসেছে সেগুলোর কোনও বিশদ রূপরেখা এখনও নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে কিংবা লিখিত আকারে সেসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি এবং কোনও সরকারও তা অনুমোদন করেনি।
পর্দার অন্তরালের এ আলোচনায় আবুধাবি যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অধীনে গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম শাসনের জন্য ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে পুনর্গঠন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছে, যার বিরোধিতা প্রকাশ্যেই করেছে ইসরায়েল।
এই আলোচনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন,ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ)- এর উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠন, ক্ষমতায়ণসহ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্বাসযোগ্য একটি রূপরেখা পত্তনের বিষয়টি পরিকল্পনায় না থাকলে সে আলোচনায় ইউএই অংশ নেবে না।”
এই বিষয়গুলো- বর্তমানে যেগুলোর অভাব রয়েছে- এগুলোই হচ্ছে গাজায় যুদ্ধপরবর্তী যে কোনও পরিকল্পনা সফল হওয়ার জন্য জরুরি,” বলেন ওই কর্মকর্তা।
১৯৯৩-১৯৯৫ সালে অসলো চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) গঠিত হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে তারা পশ্চিম তীর এবং গাজায় সীমিত শাসনক্ষমতা পায়।
তবে ২০০৭ সালে হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গাজা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। এখন কেবল ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের শাসন বহাল আছে।