পাকিস্তানের সাবেক প্রধিানমন্ত্রী বলছেন, সে সময় তিনি কারাগারে ছিলেন এবং ওই সহিংস প্রতিবাদের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
Published : 09 May 2024, 01:24 PM
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বছরের ৯ মের দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। তার দল পিটিআইয়ের ২০১৪ সালের অবস্থান ধর্মঘটের বিষয়ে তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
বুধবার দেশটির আদিয়ালা কারাগারে ১৯ কোটি ডলার দুর্নীতি মামলার আইনি প্রক্রিয়া শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় গত বছরের ৯ মে-র সহিংস প্রতিবাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন।
তিনি জানান, সে সময় তিনি আটক ছিলেন এবং ওই প্রতিবাদের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রতিবাদের বিষয়ে শুধুমাত্র তখনই জানতে পারেন যখন তাকে পাকিস্তানের তখনকার বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের সামনে আদালতে হাজির করা হয়।
“আমি ইতোমধ্যেই ওই সহিংস প্রতিবাদের নিন্দা করেছি,” বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৯ মে-র প্রতিবাদের বিষয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর পাকিস্তানের বেশ কিছু শহরে সহিংস প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানো শুরু হয়।
ইমরান বলেছেন, কর্তৃপক্ষ যদি সংলাপে আগ্রহী না হয় তাহলে পিটিআইও এর জন্য অপেক্ষা করবে না।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি পাকিস্তানের স্বার্থেই সংলাপ চান, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কোনো চুক্তি করতে চান না।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই এবং তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সশস্ত্র বাহিনী ও আমলাতন্ত্রে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ২০১৪ সালের অবস্থান ধর্মঘট নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছেন আর তদন্ত কমিটির সামনে ‘আনন্দের সঙ্গে’ উপস্থিত হবেন বলে জানান। এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্তে তা ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সাবেক এই ক্রিকেট তারকা জানান, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রতিবাদে ওই অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়েছিল, কারণ ওই নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছিল।
চলতি বছর, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।