মন্ত্রণালয়টি জার্মানির জ্বালানী নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের সমালোচনারও জবাব দিয়েছে।
Published : 11 Sep 2024, 09:55 PM
অভিবাসীরা পোষা প্রাণী খাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এমন মিথ্যা দাবি করার পর বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা এক পোস্টে তাকে উপহাস করেছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টি জার্মানির জ্বালানী নীতি নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনারও জবাব দিয়েছে।
মঙ্গলবার ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কের সময়ও ট্রাম্প মিথ্যা দাবি করে বলেছিলেন, ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডে বহু হাইতিয়ান অভিবাসী খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পোষা প্রাণী অথবা পার্কগুলো থেকে বন্যপ্রাণী চুরি করছে।
বিতর্কে হ্যারিস বলেছিলেন, তিনি তার দেশকে আরও টেকসই ও বৈচিত্র্যময় মিশ্র জ্বালানি উৎসের দিকে নিয়ে যেতে চান। ট্রাম্প হ্যারিসকে আক্রমণ করে বলেন, জার্মানি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্ট দিয়ে বলে, “পছন্দ করুন আর নাই করুন: ৫০ শতাংশেরও বেশি নবায়নযোগ্যসহ জার্মানির জ্বালানি ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর আছে। আর আমরা কয়লা ও পারমাণবিক প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিচ্ছি, নির্মাণ করছি না। ২০৩৮ সালের মধ্যে কয়লা গ্রিড বন্ধ হবে।
“বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমরা কুকুর বিড়াল খাই না। #বিতর্ক২০২৪”
জার্মানির গ্রিনস পার্টির পরিচালনাধীন অর্থ মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট শেয়ার করে লিখেছে, “নতুন কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র? মোটেই না!”
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ কমলা হ্যারিসের প্রতি সরাসরি সমর্থন না জানালেও তার প্রশংসা করেছিলেন। জুলাইতে তিনি বলেছিলেন, “হ্যারিস দক্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তিনি জানেন তিনি কী করছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যারিস ভালোভাবেই জয় পেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি, জানিয়েছে রয়টার্স।
২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ও প্রতিরক্ষা খাতে কম ব্যয় নিয়ে ট্রাম্প যে ক্রোধ প্রকাশ করেছিলেন, জার্মানি প্রায়ই তা সামনে এনেছে।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে আমদানির ওপর অধিক শুল্ক ধার্য করবেন এবং নেটো সামরিক জোটের সদস্যদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের শর্ত হিসেবে ওই দেশগুলোকে তাদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে।
জার্মানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যেই তারা ২ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।