ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন জয়শঙ্করের সঙ্গে।
Published : 23 Jan 2025, 02:04 AM
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বুধবার বিফ্রিংকালে এক প্রশ্নে জয়শঙ্কর সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলাপ হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
তবে এ নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু তিনি বলতে চাননি।
ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন জয়শঙ্করের সঙ্গে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং চার দেশের জোট কোয়াড এর বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন।
ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেই থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
শেখ হাসিনাকে সেখান থেকে ফেরত আনা নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে।
হাসিনার সেখানে থাকা নিয়ে উভয় দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গণ আন্দোলন ঠেকাতে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন মামলা এবং হত্যা মামলায় নাম এসেছে শেখ হাসিনার।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। টাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অস্বস্তি চলছে।
এ কারণে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এলে তা সংবাদমাধ্যম ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনায় আসে।
কোয়াড বৈঠকের পাশাপাশি এদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শঙ্কর নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা ‘আধিপত্য’ রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চারটি দেশের এই নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াডের যাত্রা শুরু হয়।
দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশের অংশীদারত্ব শক্তিশালী করতে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা আঞ্চলিক বিষয়, দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও তারা একমত হয়েছেন।
দ্য হিন্দু লিখেছে, অনিয়মিত অভিবাসন বিষয়ক উদ্বেগ মোকাবেলায় ভারতের সঙ্গে কাজ করবে ট্রাম্প প্রশাসন।
তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও উদীয়মান প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে দুই মন্ত্রীর বৈঠকে।