সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে মধ্যাঞ্চলীয় বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে ও ভূমিধসে।
Published : 25 Oct 2024, 05:07 PM
ফিলিপিন্সের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসা ক্রান্তীয় ঝড় ট্রামির প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্মকর্তারা জনগণকে সতর্ক করে জানায়, আগামী সপ্তাহে আবার ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রয়টার্স লিখেছে, প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে, ৭ হাজার ৫১০ জন যাত্রী বন্দরে আটকা পড়েছে এবং শুক্রবার ৩৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে দেশটিতে।
সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে মধ্যাঞ্চলীয় বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে ও ভূমিধসে।
“আমি আমাদের জনগণের কাছে অঙ্গীকার করছি: সাহায্য আসছে। স্থল, আকাশ এবং এমনকি সমুদ্র পথেও আসবে আসবে," প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স এ এই পোস্টটি করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার আবহাওয়া বুলেটিনে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘন্টায় একটানা সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগসহ ঝড়টি পার্বত্য উত্তরাঞ্চল কোর্দেলিয়ারার ওপর দিয়ে পশ্চিম মুখে এগিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, ঝড়টি শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরের উপর দিয়ে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ট্রামি কাছাকাছি দুটি আবহাওয়ার প্যাটার্নের কারণে আগামী সপ্তাহে উপকূলে ফিরে যেতে পারে এবং আরও দীর্ঘ সময় এর প্রভাব থাকতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস এক বিবৃতি তে জানান, রাজধানী ম্যানিলাসহ লুজনে সরকারি অফিস ও বিদ্যালয়ের কার্যক্রম তৃতীয় দিনের মতো স্থগিত করা হয়েছে।
রাজধানী থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত বাতাঙ্গাস প্রদেশের তালিসে শহরের বাসিন্দারা এরই মধ্যে বাড়ি ঘরের পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
কিছু বাড়িঘর ও গাড়ি কোমর সমান মাটি ও শক্ত কাদায় চাপা পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
মাছ প্রজনন কলমের তত্ত্বাবধায়ক ৫৫ বছর বয়সী রোমিও আলবেলার রয়টার্সকে বলেন, "বৃষ্টি তীব্র ছিল তাই কেউ প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং অনেকে মারা গেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদসংস্থা রয়টার্স কে বলেন, “আমার বাড়ি পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে। আমি কোনও জিনিসপত্রই রক্ষা করতে পারিনি। আমরা এখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব।”
এদিকে বাতাঙ্গাস প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সরকার জানিয়েছে।
মধ্যাঞ্চলীয় বিকোল অঞ্চলের পুলিশ পরিচালক আন্দ্রে ডিজন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর ফিলিপিন্স গড়ে ২০টি ক্রান্তীয় ঝড়ের কবলে পড়ে। সাধারণত এ সময় ভারি বৃষ্টি, প্রবল ঝড় ও প্রাণঘাতী ভূমিধস হয়ে থাকে।